শেষ আপডেট: 14th August 2024 11:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ডাক দিয়েছিল 'ফেডারেশন অফ রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন'। তবে সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে। তারপরই তাঁরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন।
কলকাতায় চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। বহু মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররা পথে নেমেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে, বুধবারও তা চলার কথা। তবে এই রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন যে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে। এর কারণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবি পুরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের দাবি ছিল, সেন্ট্রাল হেলথকেয়ার প্রোটেকশন অ্যাক্ট পাস করাতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশ্বাস পেতেই তাঁরা আর আন্দোলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাজুড়ে অবশ্য 'জয়েন্ট ফোরাম অফ ডক্টরস' বুধবার কর্মবিরতি করবে। চিকিৎসক সংংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে কোনওরকম পরিষেবা দেবেন না তাঁরা। যেভাবে আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে তারই প্রতিবাদে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলেও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আরজিকর-সহ রাজ্যজুড়ে চলা ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।
আন্দোলনকারীদের দাবিকে ন্যায্য বলেও অবশ্য মঙ্গলবার চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে বার্তা দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কথা বলেন। যদিও তারপরই চিকিৎসকদের সংগঠন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হয়েছে। তবে অনেকের সন্দেহ তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে এই ঘটনায়। তাই আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতেই চলছে লাগাতার আন্দোলন, আর তার জেরেই কর্মবিরতি।