শেষ আপডেট: 14th August 2024 17:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি করে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষ ও সুশীল সমাজ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও এর প্রতিবাদে মুখর। প্রতিবাদী ডাক্তার সংগঠনগুলির দাবি, স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা। আর জি করের ঘটনা ফের একবার চিকিৎসা কেন্দ্রে নানান কারণে ডাক্তারদের উপর হেনস্তা ও হামলার শিকারের প্রশ্নটিকে সামনে তুলে ধরেছে।
হাসপাতালগুলিতে উন্নত নিরাপত্তার পাশাপাশি ডাক্তারদের অন্যতম একটি দাবি হল, চিকিৎসা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় একটি আইন লাগু করা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রককে লেখা এক চিঠিতে বলে, ২৫টি রাজ্যে এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে শৈথিল্য রয়েছে। প্রতিবাদী পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, এনিয়ে ডাক্তারদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা হোক। যাতে হাসপাতালে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।
ডাক্তারদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন কী? দুবছর আগে প্রিভেনশন অফ ভায়োলেন্স এগেইন্সট হেল্থকেয়ার প্রফেশনালস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট বিল, ২০২২ বা প্রচলিত কথায় ডাক্তারদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল। এই বিলে ডাক্তারদের উপর হিংসাত্মক আক্রমণ এবং শাস্তির বিধান ছিল।
এই বিলে হিংসাত্মক কাজ, হিংসা রোধ, শাস্তি, হিংসাত্মক আচরণের বাধ্যতামূলক অভিযোগ দায়ের, জনবিক্ষোভ এবং অভিযোগ মেটানোর বিধিবিধান দেওয়া ছিল। প্রস্তাবিত এই বিলে ডাক্তার থেকে হাসপাতালে কর্মরত সব কর্মীকে রাখা হয়েছিল। বিল পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি বলেছিলেন, সরকার এই বিল নিয়ে বেশি এগতে চায় না। কারণ এর অধিকাংশই রয়েছে ২০২০ সালের এপিডেমিক ডিজিজেস সংশোধনী অর্ডিন্যান্সে।
এখন ডাক্তার সংগঠনগুলির অভিযোগ হচ্ছে, আইন ও শাস্তির বিধান থাকলেও কেন তা প্রযুক্ত হচ্ছে না। প্রতিটি হাসপাতালের ভিতরে বহিরাগতদের উপদ্রব থেকে দালালরাজে তটস্থ হয়ে কাজ করতে হয় তাঁদের। বিশেষত হস্টেলগুলির দুরবস্থা ও রাত্রিকালীন নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক দাদাদের ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন এসব প্রশ্রয় পেয়ে মাত্রাছাড়া হয়ে গিয়েছে।