শেষ আপডেট: 25th July 2024 15:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাইবার প্রতারণা কোন হারে বাড়ছে তার নিত্যনতুন উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে। এখন আর কারও বাড়িতে গিয়ে নয়, ফোনে ফোনেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা। ক'দিন আগে বেঙ্গালুরুর এক ঘটনা সামনে এসেছিল। এবার একই রকম ঘটনা ঘটল নয়ডায়। প্রতারিত হলেন এক মহিলা চিকিৎসক। খোয়ালেন ৫৯ লক্ষ টাকা।
নয়ডার সেক্টর ৭৭-এর বাসিন্দা ডাঃ পূজা গোয়েলের কাছে গত ১৩ জুলাই একটি ফোন এসেছিল। দাবি করা হয়, টেলিফোন রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে এই ফোন করা হয়েছে এবং পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর ফোন থেকে একাধিক নীল ছবির ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। প্রথমে চিকিৎসক এই দাবি মানতে চাননি। তবে তাঁকে কার্যত ভুল বুঝিয়ে একটি ভিডিও কলে আসতে বাধ্য করে প্রতারকরা। এরপরই পূজাকে বলা হয়, তাঁকে 'ডিজিটালি অ্যারেস্ট' করা হয়েছে!
ভিডিও কল থেকে বেরতে চাইলেও পারেননি পূজা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা টানা তাঁকে থাকতে হয় ওই ফোনে। কারণ, প্রতারকরা তাঁর বাড়ি চলে আসার, পুলিশ ডাকার মতো নানারকম ভয় দেখাচ্ছিল। শেষমেশ তাঁকে বলা হয়, একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে। ভয়ের চোটে ওই অ্যাকাউন্টে ৫৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ফেলেন পূজা। ব্যস, ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে।
এরপরই ভিডিও কল বা কোনও ফোন আসা বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি পুরোপুরি বুঝতে পারেন পূজা। তারপরই তিনি পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে তার তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে এবং সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। পুলিশ আশা করছে খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীদের তারা ধরতে পারবে।
চলতি সপ্তাহেই বেঙ্গালুরুর একটি খবরে হইচই পড়েছিল যেখানে এইভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে ১.২ কোটি টাকা খুইয়েছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এক মহিলা। ফোন করে তাঁকে বলা হয়েছিল, টেলিকম বিভাগ থেকে ফোন করা হয়েছে। আর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তাঁর নামে একটি সিম কার্ড তোলা হয়েছে এবং সেটি আর্থিক প্রতারণার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস চান প্রতারকরা। সেই তথ্য তাদের দেওয়ার পরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বৃদ্ধাকে বলা হয়, তদন্তের জন্যই এই টাকা কাটা হয়েছে। কিছু ভ্যারিফিকেশনের পর তা পরবর্তী কিছুদিনের মধ্যেই ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা কেটে নেওয়ার পর আর কোনও ফোন আসেনি।