শেষ আপডেট: 13th March 2025 14:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাত্রা ক'দিন আগে হায়দরাবাদের একটি ঘটনায় কলকাতার কসবা কাণ্ডের কথা মনে করিয়েছিল। সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বাবা-মা। এবার চেন্নাইয়ে (Chennai) একই ঘটনা ঘটল। এক চিকিৎসকের গোটা পরিবারের (Family) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে (Death) পুলিশ। অনুমান, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন বাবা-মা।
বৃহস্পতিবার সকালে চেন্নাইয়ের আন্নানগরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের দুই ছেলের মৃতদেহ। পেশায় ডাক্তার ছিলেন বালামুরুগান, তাঁর স্ত্রী সুমতি ছিলেন আইনজীবী। দুই ছেলের মধ্যে যশবন্ত কুমার নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং লিঙ্গেস কুমার ক্লাস ৫-এর ছাত্র। এদিন দুটি আলাদা ঘর থেকে চারজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
সকালে বালামুরুগানের গাড়ির চালক এসে ডাকাডাকি করলে ভিতর থেকে কেউ সাড়া না দেওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। এরপরই তিনি সময় নষ্ট না করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে চারজনের দেহ উদ্ধার করে। তাঁদের অনুমান, প্রথমে দুই সন্তানকে খুন করে বাবা-মা আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কেন? প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাজারে প্রচুর টাকার দেনা হয়ে গেছিল তাঁদের। কোনও ভাবেই শোধ দিতে পারছিলেন না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। এদিকে পাওনাদাররা বাড়িতে আসতেন, এমন তথ্যও আপাতত পায়নি পুলিশ। গোটা বিষয়টি আদতে আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চারজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দুদিন আগে হায়দরাবাদে বাড়ির দুটি আলাদা ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। অন্য একটি ঘরের বিছানায় দুই সন্তানের দেহ শোয়ানো ছিল। তাদের শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশ। খুনের পরই স্বামী-স্ত্রী একে একে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। তা থেকে জানতে পেরেছে, তাঁদের অর্থনৈতিক কিছু সমস্যা ছিল, একই সঙ্গে শারীরিক সমস্যার কথাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। অনুমান, জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন পরিবারের কেউ। তার খরচের জন্য হিমশিম খাচ্ছিলেন সকলে। এই কারণেই পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।