মহারাষ্ট্রে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভাষা-রাজনীতি (Language controversy)। এবার ঠানের ভাষাবিতর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নীতেশ রানে (Nitesh Rane)।
গ্রাফিক্স: দিব্যেন্দু দাস
শেষ আপডেট: 4 July 2025 09:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভাষা-রাজনীতি (Language controversy)। এবার ঠানের ভাষাবিতর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নীতেশ রানে (Nitesh Rane)। এক হিন্দু দোকানদারকে মারাঠি না বলার ‘অপরাধে’ মারধর করা নিয়ে সরব হয়ে প্রশ্ন তুললেন, “আমির খান, জাভেদ আখতার কি মারাঠি বলেন? তাহলে একজন গরিব হিন্দুকে মারা হচ্ছে কেন?”
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে। রাজ ঠাকরের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (MNS) পতাকা গলায় জড়ানো কয়েকজন ঠানের ভায়ান্দারে এক দোকানদারকে হিন্দিতে কথা বলার শাস্তি দিতে চড়-থাপ্পড় মারেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা দোকানিকে প্রশ্ন করেন, “এই রাজ্যে কোন ভাষা বলা হয়?” উত্তরে দোকানদার বলেন, “সব ভাষাই বলা হয়।” এরপরই তাঁকে বারবার চড় মারা হয়।
ঘটনার পরই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই আবহেই শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতেশ রানে বলেন, “শুধু হিন্দু বলেই কি তাঁকে মারা হল? সাহস থাকলে যান মুম্বইয়ের নাল বাজার, মহম্মদ আলি রোডে। সেখানকার লোকেদের বলুন মারাঠি বলতে। যারা দাড়ি রাখে, টুপি পরে, তাদের কি মারাঠি বলতে বলেন?”
মন্ত্রীর অভিযোগ, মারাঠি ভাষার দোহাই দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে টার্গেট করা হচ্ছে। বলেন "আমাদের সরকার হিন্দুত্বের আদর্শে চলে। কেউ এ ধরনের কাজ করলে, সরকারও তৃতীয় নেত্র খুলবে।"
বস্তুত, মহারাষ্ট্রে এর আগেও একাধিকবার মারাঠি না বলা নিয়ে চরমপন্থী হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ের পওয়াইয়ে মারাঠি না বলায় এক সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করা হয়। একই মাসে ডোম্বিভলিতে এক মহিলাকে, যিনি শিশুকে কোলে নিয়ে হাঁটছিলেন, শুধুমাত্র ‘এক্সকিউজ মি’ বলার জন্য মারধর করা হয়।
মার্চ মাসেও এমন ঘটনা ঘটে। ওয়রসোভার এক ডি-মার্ট কর্মী মারাঠি না বলে শুধুমাত্র হিন্দি বলার কারণে মার খান। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “আমি মারাঠি বলব না, হিন্দিই বলব। যা করার করে নিন।”