বাকি ৯টি দেহ, যেগুলির ডিএনএ মিলেছে, সেগুলিও ধাপে ধাপে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, তবে পুরোপুরি ডিএনএ মেলানো ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাকি ৮ জনের দেহ, যেগুলির ডিএনএ মিলেছে, সেগুলিও ধাপে ধাপে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
শেষ আপডেট: 14 June 2025 14:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) দু’দিন পর শনিবার প্রথম, ডিএনএ (DNA) পরীক্ষা করার পর এক যাত্রীর দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। বাকি ৮জনের দেহ, যেগুলির ডিএনএ মিলেছে, সেগুলিও ধাপে ধাপে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, তবে পুরোপুরি ডিএনএ মেলানো ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমদাবাদ বিমানবন্দর (Ahmedabad Plane Crash) থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Plane Crash) লন্ডনগামী বিমান এআই-১৭১। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় সেটি। ভেঙে পড়ে স্থানীয় একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। ওই বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। প্রাণে বেঁচেছেন মাত্র একজন। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭০টির মতো দেহ ও দেহাংশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, যাঁদের দেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল এবং আত্মীয়রা শনাক্ত করতে পেরেছিলেন, এমন আটজনের দেহ আগেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে বাকিদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে ডিএনএ পরীক্ষাই একমাত্র ভরসা ছিল।
নিহতদের আত্মীয়দের অনেকেই আমদাবাদে এসে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। অনেককে বিদেশ থেকে আসতে হয়েছে শুধু এই কারণে। সেই নমুনা মেলানোর প্রক্রিয়াই এখন দেহ শনাক্তের একমাত্র উপায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ডিএনএ রিপোর্ট আসছে এবং আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও দেহই হস্তান্তর করা হচ্ছে না।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কত তা এখনও চূড়ান্ত করেনি সরকার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি দেহের বিজ্ঞানসম্মত শনাক্তকরণ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে না।