শেষ আপডেট: 30th October 2024 20:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এবং দেমচোক থেকে শিবির সরানোর কাজ অনেকদিনই শুরু করেছিল চিন। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছেও বলে খবর। অর্থাৎ এলএসি-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে সেনা পিছোনো বা ডিসএনগেজমেন্ট-এর কাজ শেষ করেছে চিন এবং ভারতীয় সেনা। জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক নজরদারি শুরু হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায়।
ডেপসাং এবং দেমচোক ছাড়াও লাদাখের বেশ কয়েকটি জায়গায় চিনা সেনা ঘাঁটি গেড়েছিল। ধীরে ধীরে সেগুলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গালওয়ানে দুই দেশের সেনার সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে যে সমস্যা বেড়েছিল তার জেরেই ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। তবে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার আগে থেকে এলএসি-তে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয় চিনের। যদিও তার আগে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কিছুদিন আগে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছিল পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এলাকার পেট্রল পয়েন্ট ১০-এ চিনের যে বিরাট শিবির ছিল, ওই একই জায়গা পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। এর দক্ষিণ দিকে গত ৯ অক্টোবর দেমচোকের ছবিতে দেখা গেছিল একটি নির্মাণ। সেটাও উধাও। এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল যে, চুক্তিমতো সেনা শিবির সরিয়ে নিচ্ছে চিন। বুধবার তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে দীপাবলির দিন দুই দেশের সেনাবাহিনী একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করবে বলেও জানা গেছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্তের সমস্যা আপাতত মিটেছে তা বলা যায়। খুব তাড়াতাড়ি কীভাবে কোন এলাকায় নজরদারি চলবে তার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়ে যাবে। খুব দ্রুত টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চলেছে দুই দেশ। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ায় সদ্যসমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে সেনা টহলদারি কমানোর বিষয়ে একমত হন। তারপর থেকেই তা কার্যকর হতে শুরু করেছিল।