শেষ আপডেট: 5th February 2025 13:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি সোনার বিস্কুট এবং ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দফতর। ঘটনা গত ডিসেম্বরের। এক মাসের বেশি কেটে গেলেও এই তদন্তের কোনও সুরাহা হয়নি। ওই টাকা এবং সোনা আদতে কার সেটাই এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছিল, যে গাড়ি থেকে টাকা-সোনা উদ্ধার হয়েছিল চেতন গৌঢ় নামের গোয়ালিয়রের এক বাসিন্দার। যার সঙ্গে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস বা আরটিওর প্রাক্তন কনস্টেবল সৌরভ শর্মার যোগ রয়েছে। এই মুহূর্তে এই ঘটনার তদন্ত করছে ইডি, আয়কর দফতর, রেভেনিউ ইন্টালিজেন্স। কিন্তু তাঁরা কেউই সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে সৌরভের যোগসূত্র পাচ্ছেন না।
কত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেটা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। আদালতে প্রথমে দাবি করা হয়েছিল প্রায় ৮ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে ডিএসপি লেভেলের এক অফিসার দাবি করেছেন, মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তার সঙ্গে ছিল সোনা এবং রুপোর গয়না। এই ধন্দের পরই ইডি এই তদন্তের ভার নেয়। মনে করা হচ্ছে, ইচ্ছে করে সঠিক তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
একাধিক এজেন্সি তদন্ত করলেও এখনও পর্যন্ত কেউ বলতেই পারেনি যে ওই গাড়ি এবং সোনা কার ছিল। গাড়ির কাগজপত্র চেতন সিং গৌড় নামের এক ব্যক্তির নামে ছিল যিনি সৌরভের পরিচিত। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, ওই গাড়ি ভাড়ায় দেওয়া ছিল। এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও ওই গাড়ির চালককে ধরতে পারেনি পুলিশ। এতেই সন্দেহ বাড়ছে, আসল অপরাধীকে কেউ ভিতর থেকে সাহায্য করছে, তাই তাকে ধরা যাচ্ছে না।
এখন আর এই তদন্ত শুধু মধ্যপ্রদেশে আটকে নেই। দেশের একাধিক রাজ্যে তা ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, অন্যান্য রাজ্য তো বটেই বিদেশেও টাকা-সোনা পাচার হয়ে থাকতে পারে। সৌরভের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দুবাই, সুইৎজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় টাকা পাঠানোর তথ্য হাতে এসেছে। তার সঙ্গে এই অর্থের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে সৌরভ শর্মা, চেতন গৌড় সহ তাঁর আরও এক সঙ্গী পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু প্রশ্নটা সেই রয়েই গেছে...
টাকা আর সোনা কার?