শেষ আপডেট: 17th February 2025 18:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশেষভাবে সক্ষম। আর সে কারণেই প্রতিবন্ধী কোটায় সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। এবার সেই কর্মীর নাচের ভিডিও সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কীভাবে সবকিছু লুকিয়ে মহিলা চাকরি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে অভিযুক্ত সরকারি কর্মী প্রিয়ঙ্কা কদমের সাফাই, তাঁর নিয়োগে কোনও ত্রুটি নেই। তিনি চাকরি পাওয়ার আগেই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হাড় সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ অক্ষম রয়েছে। কিন্তু তিনি হাঁটতে পারেন, এমনকি নাচতেও পারেন।
যদিও মহিলা কর্মীর আচমকা নাচের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে কীভাবে তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষিত যুব সংগঠন। ওই মহিলা আধিকারিকের 'প্রতিবন্ধী' হওয়ার দাবি নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমনকি প্রিয়ঙ্কার প্রতিবন্ধী শংসাপত্র খুঁটিয়ে দেখার দাবিও জানানো হয়েছে। ভোপাল এইমস-এর চিকিৎসকরা তা খতিয়ে দেখবেন বলে খবর।
View this post on Instagram
২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশের এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন প্রিয়ঙ্কা। সম্প্রতিই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল রাজ্য আবগারি আধিকারিক হিসেবে। প্রিয়াঙ্কা বর্তমানে উজ্জয়িনীর ট্রেজারি এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগে সহকারি অডিট অফিসার হিসেবে নিযুক্ত। জেলা আবগারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলেও, সরকারি প্রক্রিয়ার কারণে তাঁকে এখনও সেই পদে বদলি করা হয়নি।
কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সরকারি কর্মীর নাচ দেখে চোখ কপালে উঠল অনান্য কর্মীদের। যদিও প্রিয়ঙ্কা জানান, খুবই সাধারণ ঘরের মেয়ে তিনি। জীবনে যা অর্জন করেছি সব কিছু নিজের পরিশ্রমে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বাথরুমে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর নিতম্বে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। এমআরআই স্ক্যানে দেখা গিয়েছে তাঁর 'অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস' নামক একটি রোগ রয়েছে। এই রোগে রক্ত চলাচল ঠিকমতো না হওয়ায় একজন ব্যক্তির হাড়ের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত চারটি অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। শুধুমাত্র নিজের মনোবল বৃদ্ধির জন্য মাঝেমধ্যে একটু নাচানাচি করেন তিনি বলে জানিয়েছেন মহিলা সরকারি কর্মী।