প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 27 November 2024 10:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়েক ঘণ্টাতেই খোয়া যাচ্ছে লক্ষ-কোটি টাকা। প্রতারকদের নতুন অস্ত্র 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' (Digital Arrest)। নতুন করে আরও দুই রাজ্যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন দুজন। একজনের খোয়া গেছে ৭ লক্ষ, অন্যজনের প্রায় ৫ লক্ষ!
আইআইটি বম্বের একটি পড়ুয়া এই 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' (Digital Arrest)-এর শিকার হয়ে ৭.২৯ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। অন্যদিকে, ফরিদাবাদে প্রাক্তন বায়ুসেনার এক কর্মীর কাছ থেকে একইভাবে প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। দুজনকেই বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' করে রাখা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, গত জুলাই মাসে আইআইটি বম্বের ২৫ বছরের ওই পড়ুয়াকে টেলিকম রেগুলেটরি অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাইয়ের কর্তা সেজে ফোন করা হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়, তাঁর ফোন নম্বর দিয়ে অবৈধ কাজ করা হয়েছে এবং ১৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পড়ুয়া ভয় পেতেই তাঁকে বলা হয়, কলটি সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চে ট্রান্সফার করা হচ্ছে এবং সে যেন ফোন না কাটে।
কিছু পরেই তাঁকে ফোন কাটতে বলা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল করা হয়। তখন তাঁকে বলা হয়, আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত সে। তাঁকে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' করা হচ্ছে। এরপর তাঁর থেকে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রতারকরা। বলা হয়, ফোন নম্বরে হওয়া মামলাগুলি তুলতে গেলে এই টাকা দিতে হবে। ভয় পেয়ে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য শেয়ার করে পড়ুয়া।
এদিকে ফরিদাবাদে প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মীর কাছেও ট্রাই এবং সিবিআইয়ের নাম করে ফোন এসেছিল। তাঁকে বলা হয়, অবৈধ কাজ হয়েছে তাঁর ফোন নম্বর থেকে এবং সেই নম্বর দু-ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পরে তাঁর কাছে আরও একটি ফোন আসে সিবিআই-এর নাম করে। বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ৬ কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এরপর একইভাবে তাঁকে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' করে ব্যাঙ্কের তথ্য চাওয়া হয় এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।