শেষ আপডেট: 19th November 2024 11:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দূষণে কার্যত কাবু দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স সোমবারই ৯০০ ছাড়িয়ে গেছিল। এই অবস্থায় দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধির চতুর্থ স্তরের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিএস ৩ পেট্রোল এবং বিএস ৪ ডিজেলের চার বা তার বেশি চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু দিল্লির রাস্তায় এখনও বড় বড় ডিজেল ট্রাক দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে চলছে বাসও।
সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বেরিয়েছে যাতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে দিল্লিতে দূষণের যা পরিস্থিতি তা একসঙ্গে ৪৯টি সিগারেট খাওয়ার সমান। কিন্তু এই অবস্থাতেও হেলদোল নেই পুলিশের। কারণ তাঁদের টাকা দিয়েই অনায়াসে শহরের রাস্তায় চলাচল করছে ডিজেল চালিত ট্রাক, বাস। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুলিশকে ২০০ বা তার বেশি কিছু টাকা ঘুষ দিয়ে চলাচলের অনুমতি পেয়ে যাচ্ছে এই গাড়িগুলি।
দূষণ ঠেকাতে কড়া আইন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ট্রাকগুলিকে দিল্লি ঢোকার মুখে চেক পয়েন্টে আটকে দিচ্ছিল দিল্লি-নয়ডা পুলিশ। তাদের ফিরে যেতে বলা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে পুলিশকে চেকপোস্টে টাকা দিয়ে ট্রাকচালকরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। এক ট্রাকচালক ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওড়িশা থেকে দিল্লি আসার সময় তিনি পুলিশকে ২০০ টাকা দেন। তাতেই শহরে ঢোকার ছাড়পত্র পান।
অন্যদিকে, পূর্ব দিল্লির অক্ষরধাম এলাকায় এমনই কিছু বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। নিয়ম ভেঙেই সেগুলি চলছে যার ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত আরও অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে পুলিশ উদাসীন। তাঁদের বক্তব্য, এই বাসগুলি কোথা থেকে আসছে তাঁরা তা জানেন না! কেউ অভিযোগ করলে সেগুলিকে ধরা হচ্ছে। তদন্ত পরে হবে।
দিল্লি ও সংলগ্ন নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং গুরুগ্রামে ইতিমধ্যে বিপজ্জনক মাত্রা ছুঁয়েছে দূষণের সূচক। এই জায়গাগুলিতে সূচক ৫০০-র বেশি ছিল সোমবার। একটি রিপোর্ট বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দৈনন্দিন সহনশীল দূষণের মাত্রা থেকে ৬০ গুণ বেশি ছাড়িয়েছে দিল্লির দূষণ। দিল্লি সরকার এই পরিস্থিতিকে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে দূষণ ঠেকানোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।