শেষ আপডেট: 5th December 2024 17:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বহু সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক পেরিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হলেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শেষ মুহূর্তে জটের জাল ছিন্ন করে শপথ নিলেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। এনসিপি-র অজিত পাওয়ারও। মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে মহাসমারোহে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিজেপির তাবড় নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীরা। ফড়নবিশকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন।
প্রসঙ্গত, গতকাল, বুধবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে বিধান পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়। তারপরেই দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান ফড়নবিশ।
নাগপুরের কাউন্সিলার থেকে তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। একেবারে সিনেমাটিক উত্থান দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জীবনে। মাত্র ৫৪ বছরের জীবনে রাজনৈতিক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে চাণক্য-বুদ্ধিতে পথের নানান কাঁটা উপড়ে ফেলে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পাগড়ি মাথায় দিলেন। বুধবারই বিধান পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর দেবেন্দ্র বলেন, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।
কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ?
ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির সময় তাঁর বাবাকে জেলে পাঠিয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। যা কিশোর দেবেন্দ্রর মনে তিক্ত ছাপ ফেলেছিল। নাগপুরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। ছাত্র বয়স থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য হিসেবে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
সেই থেকে রাজনীতি করে ১৯৮৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং মাত্র ২৭ বছর বয়সে নাগপুরের কনিষ্ঠতম মেয়র হন দেবেন্দ্র। বাবা গঙ্গাধররাও ফড়নবিশকে ইন্দিরা জমানায় জেলে যেতে হওয়ায় দেবেন্দ্র রাগে ইন্দিরা কনভেন্ট নামে স্কুল ছেড়ে দিয়ে সরস্বতী বিদ্যালয় নামে একটি স্কুলে নতুন করে ভর্তি হন। তিনি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পাশ করেন আইনে স্নাতক হওয়ার পর। রাজনীতির শুরুতে দেবেন্দ্রর কাজ ছিল দেওয়ালে পোস্টার সাঁটা ও দেওয়াল লিখন করা। পরপর দুবার নাগপুরের মেয়র হন। ২০১৪ সালে রাজ্যের অষ্টাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গদিতে বসেন।
উল্লেখ্য, এবার রাজ্যে ১৪৯টি আসনে লড়াই করে ১৩২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। যা রাজ্যের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও তদারকি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৫৭টি এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি ৪১ আসনে জয়ী হয়।