ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 11 May 2025 07:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজস্থানের বাড়মের এবং জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা-সহ সীমান্তবর্তী একাধিক জেলায় গোলাগুলি ও ড্রোন হামলার (India Pakistan ceasefire) অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতীয় সেনার পালটা অভিযানের মাঝেই রবিবার বিবৃতি জারি করে পাকিস্তান জানিয়েছে, সংঘর্ষবিরতিকে তারা সমর্থন জানাচ্ছে। সঙ্গে পাকিস্তান আরও বলে, 'আমরা আমাদের অঙ্গীকারের স্থির'।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, “সীমান্তে আমাদের সেনা দায়িত্ব নিয়ে ও সংযম দেখিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। বরং ভারতই সংঘর্ষবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সংঘর্ষবিরতি কার্যকরে কোনও জটিলতা থাকলে, তা যথাযথ স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই মেটানো উচিত। সীমান্তে উভয় পক্ষের সেনাদেরও সংযম দেখানো প্রয়োজন।”
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। তার পর ভারত প্রতিশোধমূলক অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায়। তার পর থেকেই উত্তপ্ত সীমান্তে চলছে গোলাগুলি। এমন আবহেই শনিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী জানান, “পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান যেন দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি সামলায়—এই মর্মে তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান। সীমান্তে কোনও রকম লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি হলে সেনাবাহিনীকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এরই মধ্যে রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংঘর্ষবিরতি চুক্তির প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে সক্রিয় নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে মার্কিন উদ্যোগকে পাকিস্তান সাধুবাদ জানাচ্ছে।”
শরিফ আরও জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র ভূমিকাও প্রশংসনীয়। পাকিস্তান মনে করে, এই চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথে এক নতুন সূচনা হতে পারে।
পরবর্তীতে পাকিস্তানের জনগণের উদ্দেশে ভাষণেও শরিফ বলেন, এই সঙ্কটকালে যেসব আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব ও দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে, তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।