পুলিশের হেফাজতে মুসকান ও সাহিল
শেষ আপডেট: 24th March 2025 08:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বামী মার্চেন্ট নেভি অফিসার। তাঁরই বন্ধুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মুসকান রস্তোগী। প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে স্বামীকে খুন করে ড্রামে পুরে দেন। পরে ঘটনা সকলের সামনে আসে। মেয়ের কাণ্ডকারখানা শুনে বাবা-মা জামাইয়ের জন্য হতাশ হয়ে পড়েন। সাফ জানিয়ে দেন, মেয়ের সর্বোচ্চ সাজা চাই। জেলে থাকা মেয়ের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগও রাখছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সাহায্য না পেয়ে সরকারি আইনজীবীর জন্য আবেদন করলেন মুসকান।
বর্তমানে মুসকান মীরাটের জেলে বন্দি। জেল সুপারিনটেনডেন্ট বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন, মুসকান ও সাহিলকে আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার মুসকান জেল সুপারের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান। দাবি করেন, তাঁর পরিবার এই ঘটনায় বিরক্ত এবং তাঁর হয়ে মামলা লড়তে রাজি নয়। তাই সরকারি আইনজীবী চান। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর এই অনুরোধ আদালতে পাঠিয়েছে, কারণ প্রত্যেক বন্দিরই আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
৪ মার্চ, মুসকান ও সাহিল মিলে সৌরভ ভরদ্বাজকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে একটি ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেন। ঘটনার পর থেকে একের পর এক তথ্য সামনে আসতে থাকে। সম্প্রতি জানা যায়, জেলে আসার পর থেকে মুসকান ও সাহিলের মধ্যে তীব্র মাদকাসক্তির লক্ষণ দেখা গেছে। প্রথম রাতেই মুসকানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি প্রবল অস্থির হয়ে পড়েন। একইভাবে সাহিলও মাদক চাইতে শুরু করেন। জেলের ভিতরে ছটফট করতে থাকেন।
জেলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা দু'জনেই নিয়মিত মাদকের ইনজেকশন নিতেন। এছাড়া, খাবারের প্রতিও তাঁদের অনীহা রয়েছে। জেলে প্রথম রাত বারবার মাদকের জন্য জেলকর্মীদের কাছে অনুরোধ করেছেন।
জেল কর্তৃপক্ষ নেশামুক্তি কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। দুই অভিযুক্তকেই অন্যান্য বন্দিদের থেকে দূরে রাখা হয়েছে আপাতত।