শেষ আপডেট: 11th January 2025 15:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লিতে আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুধু তিনি নন, আম আদমি পার্টির মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং সহ আরও অনেকে গ্রেফতার হয়েছিল। যদিও সকলেই এখন জামিনে মুক্ত। কিন্তু এই দুর্নীতির ছায়া পিছন ছাড়ছে না কেজরিওয়ালদের। নতুন ক্যাগ রিপোর্ট বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপ-এর চাপ আরও বাড়িয়েছে।
ক্যাগ-এর নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার নয়া যে আবগারি নীতি চালু করেছিল তাতে বিরাট লোকসান হয়েছে। কমপক্ষে ২ হাজার ২৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে তার জন্য। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম এই ক্যাগ-এর রিপোর্টের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে। যদিও এই রিপোর্ট এখনও দিল্লির বিধানসভায় পেশ করা হয়নি।
পরের মাসেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ক্যাগ-এর এই রিপোর্ট যে স্বাভাবিকভাবেই আপ-এর অস্বস্তি বাড়াবে তা স্পষ্ট। যদিও বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় কেজরির দল। দলের সাংসদ সঞ্জয় সিং-এর বক্তব্য, এই রিপোর্টের কোনও ভিত্তি নেই। তিনি মনে করেন এই রিপোর্ট বিজেপির দফতরে তৈরি হয়েছে। বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ হওয়ার আগেই কেন এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
দিল্লির আবগারি মামলা নিয়ে বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্পষ্ট দাবি ছিল, তিনি সরাসরি এই দুর্নীতিতে যুক্ত। বলা হয়েছিল, কেজরিওয়াল একা নন, আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত গোটা আম আদমি পার্টি। ক্যাগ-এর রিপোর্টও দাবি করেছে, নয়া আবগারি নীতিতে অনেক ত্রুটি ছিল। কিন্তু দিল্লির সরকার তা জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
২০২১ সালে দিল্লির আবগারি নীতিতে বদল আনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকার। পরে যদিও সেই নীতি বাতিল করা হয়। সিবিআই সেই সময় দাবি করেছিল, ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকার কয়েক জন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। তার বদলে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছিল। যদিও গোড়া থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ। ২০২২ থেকে প্রকাশ্যে আসে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির বিষয়টি।
কেবল আপ নয়, আবগারি দুর্নীতিতে তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের কন্যা কে কবিতাকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি।