দিল্লির লাজপত নগরে নিজের বাড়ি থেকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। অভিযোগের আঙুল গৃহসহায়ক মুকেশের দিকে।
ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 4 July 2025 07:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির লাজপত নগরে নিজের বাড়ি থেকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। অভিযোগের আঙুল গৃহসহায়ক মুকেশের দিকে। পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্ত্রীর বকুনি এবং আর্থিক লেনদেন ঘিরে বিবাদের জেরে এই হামলা ঘটে। সেই সঙ্গে টাকা ফেরত চাওয়াও হয়েছিল। সেই রাগেই নাকি ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
মৃত মহিলার নাম রুচিকা সেওয়ানি (৪২)। তাঁর ছেলে কৃষ ছিলেন দশম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, কাজকর্ম নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় রাগের মাথায় মুকেশ এই ঘটনা ঘটায়। সে জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে কয়েকদিন কাজে যেতে পারেনি। সেই নিয়ে রুচিকা তাঁকে বকাঝকা করেন এবং স্বামীর কাছ থেকে নেওয়া ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলেন। সেই সময়েই রাগে তিনি রুচিকাকে আক্রমণ করেন। পরে ছেলে কৃষ ঘটনাস্থলে চলে এলে তাকেও মারা হয়, যাতে পুরো ঘটনাটি প্রকাশ্যে না আসে।
বুধবার রাত ৯টা ৩০ নাগাদ বাড়ি ফিরে রুচিকার স্বামী কুলদীপ সেওয়ানি দরজা বন্ধ দেখতে পান। ফোনে স্ত্রী বা ছেলের সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর। সিঁড়ির ধারে রক্তের দাগ দেখে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে রুচিকা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। ছেলের দেহ পড়ে ছিল বাথরুমে, রক্তে ভেসে।
দম্পতি মিলে লাজপত নগর মার্কেটে একটি পোশাকের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত মুকেশ (২৪) বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে দিল্লির অমর কলোনিতে থাকত, যা সেওয়ানি পরিবারের বাড়ির কাছেই।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর অভিযুক্ত মুকেশ পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুঘলসরাই এলাকা থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।