দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট।
শেষ আপডেট: 18th February 2025 10:46
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে স্টেশন মাস্টার ও আরপিএফ-এর সহকারী নিরাপত্তা কমিশনার তাঁদের টিম নিয়ে ফুট ওভারব্রিজ ২ ও ৩-তে যান। আরপিএফ ইনস্পেক্টর পরামর্শ দেন, দ্রুত কুম্ভগামী বিশেষ ট্রেন চালু করা হোক, যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পাশাপাশি, প্রয়াগরাজগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়, কারণ প্রতি ঘণ্টায় ১,৫০০ টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। প্ল্যাটফর্ম ১২-১৬-এর ভিড় লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল।
এই পরিস্থিতিতে রাত ৮:৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হয়, কুম্ভগামী বিশেষ ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ১২-তে আসবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই নতুন ঘোষণা আসে, ট্রেনটি এবার প্ল্যাটফর্ম ১৬-তে আসবে। ফলে প্ল্যাটফর্ম ১২-তে থাকা যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ওভারব্রিজের দিকে দৌড়ান, যাতে তাঁরা ট্রেন ধরতে পারেন।
এদিকে, অন্যদিকে যাত্রীরা— যাঁরা মগধ এক্সপ্রেস, সম্পর্ক ক্রান্তি ও প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেসে উঠতে চেয়েছিলেন— তাঁরা নীচে নামতে থাকেন। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে কয়েকজন পড়ে যান, আর মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যায় মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনা।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন মহিলা, ৫ জন শিশু এবং ৪ জন পুরুষ ছিলেন। নিহতদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ৭ বছর বয়সি একটি মেয়ে, আর প্রবীণতম ৭৯ বছর বয়সি একজন বৃদ্ধ।
রেলের তরফে মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। গুরুতর আহতদের জন্য ২.৫ লাখ টাকা এবং যারা সামান্য আহত হয়েছেন, তাদের জন্য ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।