শেষ আপডেট: 21st December 2024 13:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে বিপাকে আম আদমি পার্টির প্রধান। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেল ইডি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা কেন্দ্রীয় সংস্থা আবেদনের সাপেক্ষে এই সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
যদিও এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া বলেন, এটা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর। যদি এলজি বিনয় সাক্সেনা অনুমতি দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই অনুমতির কপি কেন দেখাচ্ছে না ইডি? এতেই প্রমাণ হয় যে, এই খবরটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। বাবাসাহেবকে অপমান করার ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কী হবে? ইডিকে অনুমতি দেওয়ার কপি দেখানো হোক, দাবি তোলেন সিসোদিয়া। আপ নেত্রী প্রিয়ঙ্কা কক্করও এক্সবার্তায় লিখেছেন, এলজি সাক্সেনা কোনও অনুমতি ইডিকে দেননি। এটা ভুল খবর। উনি অনুমতি দিয়ে থাকলে তার কপি দেখানো হোক।
কেজরিওয়ালের মামলায় গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির এলজি-র কাছে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। গত ৫ ডিসেম্বর সেই আবেদনের পর শনিবার অনুমোদন দিলেন সাক্সেনা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এর আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হতো না। সিবিআই বা রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি দরকার হতো। পরে ইডির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবৎ হয়।
আবগারি মামলায় ইডির সপ্তম অতিরিক্ত চার্জশিটের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল। ওই সংক্রান্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, যা ইডি নেয়নি। এর জবাব দিতে সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে কেজরিওয়াল এবং দিল্লির শাসকদল আপকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য ওই চার্জশিটে আছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কেজরিকে ইডি গ্রেফতার করেছিল গত ২১ মার্চ। একই মামলায় সিবিআই তাঁকে ২৬ জুন নতুন করে হেফাজতে নেয়। দু’টি ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। জেল থেকে বেরিয়ে কেজরি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ওই পদে শপথ নিয়েছেন আতিশী মারলেনা। আগামী বছরের শুরুতেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। কেজরী এখন সেই প্রচারে ব্যস্ত। তাঁর দল দিল্লির নির্বাচনে কোনও জোটের শরিক হিসাবে নয়, একা লড়াই করবে, জানিয়েছেন কেজরি।