শেষ আপডেট: 8th April 2024 11:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তেলঙ্গানা বিধান পরিষদীয় সদস্য কবিতার অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। কবিতার সাধারণ জামিনের আবেদনটির শুনানি রয়েছে আগামী ২০ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় নেত্রীর বাড়ি থেকে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দক্ষিণ গ্রুপের মূল অভিযুক্ত হলেন বিজেপি বিরোধী এই নেত্রী। অভিযোগ, আম আদমি পার্টির কাছ থেকে তিনি ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত।
দুদিন আগে জেল হেফাজতে থাকাকালীনই সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় আদালতে। আবগারি মামলায় দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতের অনুমতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কবিতাকে তিহার জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, এই একই মামলায় তিহারে বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কবিতার ১৬ বছর বয়সি ছেলের পরীক্ষা রয়েছে। এই সময় মায়ের পাশে থাকা জরুরি বলে আর্জি জানিয়ে অন্তর্বর্তী জামিন চান নেত্রী। প্রবীণ কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি কবিতার হয়ে আদালতে বলেন, বাবা, ভাইবোনের বিকল্প হতে পারেন না মা। সরকারি অর্থ তছরুপ দমন আইনের ৪৫ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে সিংভি আদালতে বলেন, পিএমএলএ আইনে মহিলা অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুরের কথা রয়েছে। ১৬ বছরের ছেলে কচি বাচ্চা নয়, একথা ঠিক। কিন্তু আদালত যেন বিবেচনা করে এই সময় তার কাছে মায়ের থাকাটা কতটা জরুরি। একটি সন্তানের কাছে মায়ের গ্রেফতারি মনের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে!
সিংভির যুক্তি খণ্ডন করে ইডির আইনজীবী জোহেব হোসেন বলেন, মনে রাখতে কে কবিতা সাধারণ নারী নন। একটি রাজ্যের সামনের সারিতে থাকা একজন নেত্রী। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া ও সুবিধা ভোগ করার প্রামাণ্য নথি আছে। তদন্তকারী সংস্থা এই মামলার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। তাঁকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এরপরেই বিশেষ আদালতে বিচারক কাবেরী বাজেওয়া কে কবিতার জামিন নামঞ্জুর করে দেন।