দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২২/০৪ পহেলগাম হামলার জবাব মঙ্গলবার মধ্যরাতে দিয়েছে ভারত। যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশবাসী যাতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সেজন্য আগেই মকড্রিলের কথা ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। আজ, বুধবার দেশের বহু জায়গায় মক ড্রিল হয়েছে। অসামরিক সেনা মহড়ার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তালিকায় ছিল রাজধানী। বুধবার রাত ৮টা থেকে ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দিল্লি ব্ল্যাকআউট হয়ে যায়।

নিউ দিল্লি মিউনিসিপাল কাউন্সিল (এনডিএমসি) জানিয়েছে, রাষ্টপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও), হাসপাতাল, মেট্রো স্টেশন-সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানকে এই ব্ল্যাকআউটের আওতায় আনা হয়নি।

এনডিএমসির এক কর্মকর্তা জানান, সমস্ত বাসিন্দাদের এই পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।'অপারেশন অভ্যাস' নামে এই মহড়া দিল্লির ৫৫টি এলাকায় করা হয়। গোটা অপারেশনের অধীনে সাইরেন বাজানো হয়েছে, মানুষ নিরাপদ স্থানে ছুটেছে এবং আহতদের স্ট্রেচারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মহড়ায় শত্রুপক্ষের বিমান হামলা, অগ্নিকাণ্ড, উদ্ধার অভিযান-সহ বিভিন্ন হুমকির দৃশ্য নকল করে দেখানো হয়েছে।

দিল্লির খান মার্কেট, চাঁদনি চক-সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় পিসিআর ভ্যান, দমকলের গাড়ি ও বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী এবং সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছিল।

দিল্লির পাশাপাশি দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও একই ধরনের ব্ল্যাকআউট মহড়া হয়েছে।

ব্ল্যাকআউটের সময়সূচি (রাজ্যভিত্তিক):

• মহারাষ্ট্র (মুম্বাই, ট্রম্বে BARC কলোনি): রাত ৮টা থেকে (সময় অনির্দিষ্ট)।
• উত্তরপ্রদেশ (গৌতমবুদ্ধ নগর): ডাদরি, সুরজপুর, নয়ডা ও জেওয়ার বিমানবন্দর এলাকায় ব্ল্যাকআউট।
• উত্তরপ্রদেশ (লখনউ পুলিশ লাইন্স): শুধু পুলিশ লাইন্স এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে।
• পাঞ্জাব (মোহালি, এসএএস নগর): সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে ৭:৪০ পর্যন্ত জেলাব্যাপী ব্ল্যাকআউট।
• চণ্ডীগড় (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল): শহরজুড়ে ৭:৩০ থেকে ৭:৪০ পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট।
• ফরিদাবাদ: সন্ধ্যা ৭:৫০ থেকে ৮টা পর্যন্ত।
• পাঞ্জাব (ফিরোজপুর ছাউনিবাস): রাত ৯টা থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট।
• পাঞ্জাব (অমৃতসর): রাত ১০টা থেকে ১০:৩০ পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের পাশাপাশি বহুতল ভবনগুলিতে উদ্ধার মহড়াও হবে।