শেষ আপডেট: 14th November 2024 11:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স আগেই ৪০০ পার করেছিল। বুধবার তা ছিল ৪৫২-তে। তা থেকে কিছুটা কমেছে বৃহস্পতিবার। তবে এদিনও ৪০০ পারই রয়েছে। রাজধানীর দূষণের মাত্রা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ৪৩২-এ। কার্যত গোটা শহর এবং সংলগ্ন এলাকা ঢেকে গেছে মোটা ধোঁয়াশার স্তরে।
দূষণের প্রকোপে দিল্লি ছাড়াও রয়েছে নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ। যতদিন এগোচ্ছে ততই দূষণ আরও বাড়ছে এইসব অঞ্চলে। বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারে দাঁড়িয়েছে! তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে যান, বিমান চলাচল। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে যা রিপোর্ট তাতে স্পষ্ট বলা যায়, দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ।
শীত পড়ার মুহূর্তে রাজধানীর এই বেহাল দশা আশঙ্কা বাড়িয়েছে আরও বেশি রোগভোগের। এমনিতেই সাধারণের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আগের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে যমুনার বিষাক্ত ফেনা থেকে চর্মরোগের আশঙ্কাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সূচকের মাত্রা অনুযায়ী দিল্লি-এনসিআর এলাকায় খুব খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফের একবার জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই মাত্রায় দূষণ থাকলে শিশু-বৃদ্ধ সহ সাধারণ বয়সের মানুষের মধ্যেও শ্বাসকষ্ট থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
রাজধানীর দূষণ নিয়ে সমীক্ষায় ইতিমধ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেছে, প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে ১ জন এই বিষাক্ত দূষণের শিকার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে গলা ব্যথা বা কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, নাক দিয়ে জল পড়া-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সমীক্ষকদের দাবি, দিল্লিতে যে হারে দূষণ বেড়েছে তা সরাসরি জনগণের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শতকরা ৬৯ শতাংশ পরিবারে এক বা একাধিক সদস্যের গলা ব্যথা বা কাশি রয়েছে। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে শতকরা ৪৬ শতাংশের চোখে জ্বালাপোড়া ভাব বা নাক দিয়ে জল পড়ছে। শতকরা ৩১ শতাংশের মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সংক্রান্ত সমস্যা। দূষণের কারণে কাজে মনযোগ দিতে অসুবিধা হচ্ছে ২৩ শতাংশের, ৩১ শতাংশের মধ্যে মাথাব্যথার উপসর্গ রয়েছে। ঘুমাতে অসুবিধা হচ্ছে ১৫ শতাংশের।