শেষ আপডেট: 18th November 2024 11:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রবল দূষণ রাজধানীতে। অত্যন্ত দূষিত বাতাস। সোমবার সকাল আটটা থেকে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা জিআরএপি লাগু দিল্লিতে। আপাতত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া বাকি সমস্ত ক্লাসের পড়ুয়াদের অনলাইল ক্লাসের ঘোষণা করল আপ সরকার।
দিল্লিতে ক্রমশ বাড়তে দূষণের মাত্রা। 'সিভিয়ার' প্লাস বাতাসের অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করার কথা রবিবার বিকেলে বৈঠকের পর জানায় কেন্দ্রের এয়ার কোয়ালিটি প্যানেল। তারপরই স্কুল বন্ধের ঘোষণা করে সরকার। তবে, ক্লাস চলবে অনলাইনে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে।
এছাড়াও রাজধানীতে এই মুহূর্তে ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও ধরনের নির্মাণ কাজ এই মুহূর্তে করা যাবে না। দিল্লির কোনও বিএস ফোর গাড়ি বা পুরনো ডিসেল গাড়ি এই মুহূর্তে চালানো যাবে না। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরুরিকালীন কাজের সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক অফিসকে ৫০ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলিতেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
অক্টোবরের শেষের দিক থেকেই বায়ু দূষণের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে দিল্লিতে। দীপাবলির সময় ও তার পর দূষণের পরিমাণ মাত্রা ছাড়ায়। বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতি রাজধানীর বাতাসের। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, সন্ধে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের পরিমাণ খারাপ হতে শুরু করে। বিকেস ৪টেয় বাতাসের অবস্থা খারাপ থাকলে, বিকেল ৫টা, ৬টা বা ৭টায় বাতাসের অবস্থা অত্য়ন্ত খারাপ হতে শুরু করে।
এই সব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সরকারি অফিসের সময় বদলের ঘোষণা করেন। প্রকাশিত নির্দেশে বলা হয়, দিল্লি পুরসভা চলবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকার অফিস খুলবে সকাল ৯টায়। চলবে সাড়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দিল্লির সরকারি দফতরগুলি শুরু হবে সকাল ১০টায় চলবে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
এদিকে, দিল্লির দূষণ যখন মারাত্মক আকার নিয়েছে, তখন আজারবাইজানের বাকুতে চলা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনেও ওঠে প্রসঙ্গ। সিওপি২৯ অথবা কপ২৯-এর বৈঠকে ভারতকে দূষণ রোধের আর্জি জানানো হয়েছে। স্বল্পস্থায়ী দূষণ কমানোর ব্যাপারে ভারতকে অনুরোধ করেছেন বিশ্বের পরিবেশবিদরা। এই দূষণের মধ্যে রয়েছে প্রধানত মিথেন, ব্ল্যাক কার্বন, ভূমিস্তরের ওজোন এবং হাইড্রোফ্লুয়োরোকার্বন। যা মূলত ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে বাতাসে মেশে।