শেষ আপডেট: 17th April 2024 15:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যুদ্ধবিমান থেকে তির বেগে ছুটে যাবে। লহমায় গুঁড়িয়ে দেবে শত্রুঘাঁটি। বিপক্ষের রেডারকে ফাঁকি দেবে কৌশলে। বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ‘অস্ত্র’ মিসাইল তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। অস্ত্র-১ আগে তৈরি হয়েছিল, এবার আরও উন্নতমানের অস্ত্র মার্ক-২ তৈরি হয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৩০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। অর্থাৎ ১৩০ কিলোমিটার দূরত্বে উড়ে গিয়ে শত্রুসেনার এয়ারক্রাফ্টও গুঁড়িয়ে দিতে পারবে এই মিসাইল। ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৯ ও লাইট কমব্যাট তেজস এয়ারক্রাফ্টের এমকে১ ভার্সন থেকে ছোড়া যাবে অস্ত্র। নৌসেনার কাজেও লাগবে এই মিসাইল। নৌবাহিনীর মিগ-২৯কে এয়ারক্রাফ্ট থেকে এই মিসাইল ছোড়া যাবে বলে জানিয়েছে ডিআরডিও। এমনকি বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এমকেআই থেকেও অস্ত্রের মার্ক-১ ভার্সন ছোড়া যাবে নিপুণ নিশানায়।
কেমন এই ‘অস্ত্র’?
অস্ত্র হল সুপার ৫৩০ডি মিসাইলের পরবর্তী ভার্সন। সুপার সিরিজের মিসাইল মধ্যম পাল্লার। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ সেনারা। অস্ত্র এর থেকেও উন্নত ও আধুনিক মানের। এই মিসাইলের অ্যাকটিভ রেডার সিস্টেম যে কোনও শত্রু বিমান বা এয়ারক্রাফ্টকে খুঁজে নিয়ে আঘাত করতে পারবে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক-কাউন্টারমেজার যোগ করা আছে, প্রতিপক্ষ যদি জ্যামার দিয়ে এর গতি থামিয়ে দিতে চায় তাহলে তা রুখতে পারবে এই মিসাইল। দিনে ও রাতে, আবহাওয়ার যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবে অস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেডার, ইলেকট্রো অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম, এবং সেন্সরগুলি নিখুঁত ভাবে কাজ করবে যে কোনও পরিস্থিতিতেই।
কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে ব্রাহ্মস মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। শব্দের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি গতি। ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ল্যান্ড অ্যাটাক ভার্সনের পরীক্ষায় ফের সাফল্য মিলেছে। ভূমি, আকাশ, জল তিন জায়গায় থেকেই ছোড়া যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর বেগ এতটাই বেশি যে একবার টার্গেটের দিকে ধাওয়া করলে মাঝপথে তাকে থামিয়ে দেওয়া প্রায় অসম্ভব।