Date : 13th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে শমীক, রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথমনাবালিকা ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল মেসেজ, কাঠগড়ায় ক্যানিং স্কুলের প্রধানশিক্ষকসীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কাঁটাতারের দাবি, জমি দিতে প্রস্তুত গ্রামবাসীরাভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা! প্রতিবাদে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী, ১৬ জুলাই তৃণমূলের মহামিছিলহাসিনা ও তাঁর সন্তানদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে ইউনুস সরকার, অভিযোগ কাদেরেরকথায় কথায় ‘বাংলাদেশ যাও’, কিছু বিজেপি নেতা বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন, তাঁরা বাঙালিকে চেনেন নাকামব্যাকের বিষয়ে আগরকরের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও সাড়া পাননি রাহানেবিহারে ভোটার তালিকায় বাংলাদেশের নাগরিকের ছড়াছড়ি!বাংলা ছবির অভিভাবক ছবি বিশ্বাস, জন্মদিনে ফিরে দেখা কিংবদন্তির সফরমারাঠি না বলায় পালঘরে মারধর অটোচালককে, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ালেন শিবসেনা ও এমএনএস কর্মীরা
Indian Embassy in Indonesia

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধ বিমানের ক্ষতি! ভুল 'ব্যাখ্যা'র অভিযোগ প্রতিরক্ষা দফতরের

ইন্দোনেশিয়ায় এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার জানান, অপারেশন সিন্ধুর সময় ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণে গিয়ে 'কিছু যুদ্ধ বিমানের ক্ষতি হয়েছিল'।

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধ বিমানের ক্ষতি! ভুল 'ব্যাখ্যা'র অভিযোগ প্রতিরক্ষা দফতরের

ফাইল ছবি।

শেষ আপডেট: 30 June 2025 03:09

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার পরও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ না করায় ১৫ দিন পর ভারতীয় সেনার তরফে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকটি যুদ্ধ বিমানের (Jet Flight) ক্ষতি হয়েছিল বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন এক প্রতিরক্ষা আধিকারি। তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা। 

রবিবার ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy in Indonesia) এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, প্রতিরক্ষা আধিকারিকের বক্তব্যের 'ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে' এবং 'প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে তুলে ধরা হয়েছে'।

কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষা আধিকারিক? ইন্দোনেশিয়ায় এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার জানান, অপারেশন সিন্ধুর সময় ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণে গিয়ে 'কিছু যুদ্ধ বিমানের ক্ষতি হয়েছিল'।

তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, সেসময় নির্দেশ ছিল পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা বা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে আক্রমণ না করার। সেমিনারে তিনি বলেন, 'ওই বিধিনিষেধের কারণেই আমরা কিছু বিমান হারিয়েছি'। একই সঙ্গে ক্যাপ্টেন কুমার এও বলেন, “শুরুতে এই ক্ষতি স্বীকার করার পরে, ভারতীয় বাহিনী কৌশল বদলে আমরা সফল হয়।”

ক্যাপ্টেন কুমারের মন্তব্য সামনে আসার পরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, “আধিকারিকদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তাঁর বক্তব্য প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।”

দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী পরিকাঠামো ধ্বংস করা। দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সর্বদাই নাগরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে কাজ করে, যা আমাদের প্রতিবেশী দেশের মতো নয়।”

উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা প্রধান অনিল চৌহানও গত মাসে একটি সেমিনারে অপারেশন সিঁদুরের সময় বিমান হারানোর বিষয়টি স্বীকার করেন, তবে সংখ্যা নির্দিষ্ট করেননি। যদিও তিনি পাকিস্তানের দাবি, যে তারা ছ’টি ভারতীয় জেট ভূপাতিত করেছে, তা 'সম্পূর্ণ ভুল' বলে উল্লেখ করেছিলেন।

প্রতিরক্ষা দফতরের এই বিবৃতি আসার পরই ফের সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী মুখোশ খুলতে বিভিন্ন দেশে সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সেই দল দেশে ফেরার পর এ ব্যাপারে সরকারের বিবৃতি শোনার জন্য সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। যদিও মোদী সরকার তা খারিজ করে দিয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে বিরোধীদের আস্থা অর্জন করছেন না? কেন বিশেষ সংসদ অধিবেশনের দাবি খারিজ করা হল?”


ভিডিও স্টোরি