শেষ আপডেট: 31st July 2024 14:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৪ ঘণ্টার বেশি কেটে গিয়েছে, ওয়ানাডের পরিস্থিতির তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। মঙ্গলবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে কেরলের ওই জেলা এবং লাগোয়া এলাকায়। ইতিমধ্যে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৩২।
বুধবার সকালে ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার বেশি রাতে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা বিরোধী দলনেতার অফিসকে জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সেখানে হেলিকপ্টার নামার মতো অবস্থা নেই। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীও আপাতত সেখানে যাচ্ছেন না।
রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার কাজে নজরদারী ও সমন্বয় করতে। ধসের পাশাপাশি পরিস্থিতি গুরুতর করে তুলেছে অবিরাম বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর বলেছে, সেখানে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলতে পারে। প্রশাসনিক মহলের খরব, সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এখনই ওয়ানাড যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে আবহাওয়া একটু স্বাভাবিক হলে আকাশ পথে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হতে পারে।
বৃষ্টির কারণে উদ্ধারের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। আরও বড় বিপদের কারণ হয়েছে স্থানীয় একটি নদী। ধসের মাটি ও পাথর জমা হয়ে যাওয়ায় নদীটি দুই মুখে বইতে শুরু করেছে। তারফলে ধসের থেকেও বন্যা পরিস্থিতি এখন অনেক বড় চালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, বুধবার সংসদ ভবনে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে ওয়ানাডে মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে রাহুল উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের অনুরোধে রাজ্য সরকার সেনা বাহিনীর সাহায্য চায়। প্রশাসনের কাছে এখনও পর্যন্ত ১৮০জন নিখোঁজের নাম লিখিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। উদ্ধারকারী দলের ধারণা, ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে থাকা অনেকেই বেঁচে আছেন। এখনও পর্যন্ত তিনশো বাড়ি প্রশাসন চিহ্নিত করেছে যেগুলি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে।