শেষ আপডেট: 4th January 2025 10:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সড়ক প্রকল্পে দুর্নীতির খবর ফাঁসের কয়েকদিন পরেই এক তরুণ সাংবাদিকের মৃতদেহ উদ্ধার হল। ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ চন্দ্রকর নামে ওই সাংবাদিক। তাঁর দাদা যুকেশ চন্দ্রকর পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মুকেশের ফোন সুইচড অফ ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগড়ে বিজাপুর জেলায়। পুলিশ শুক্রবার একটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে ওই সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশ স্থানীয় একটি নিউজ চ্যানেলে কাজ করতেন। সড়ক নির্মাণের ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে খবর করার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছিল ওই ঠিকাদার ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। বস্তার জেলায় ১২০ কোটি টাকার একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে খবর করেছিলেন মুকেশ। তাঁর করা ওই খবরের পরপরই রাজ্য সরকার ওই দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। মূলত ঠিকাদারের বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়।
গত ১ জানুয়ারি রাত থেকে মুকেশের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিনই ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের ভাই রীতেশের সঙ্গে মুকেশের একটি আলোচনার কথা ছিল। সুরেশেরই একটি আস্তানায় তাঁদের দেখা হয়েছিল। আর তারপর থেকেই সাংবাদিকের ফোন সুইচড অফ হয়। নিখোঁজের খবর পেয়েই পুলিশ তৎপর হয়ে তদন্তে নামে। সব সম্ভাব্য জায়গায় মুকেশের খোঁজে নেমে পড়ে বিশেষভাবে গঠিত একটি টিম।
গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় চাট্টনপাড়া এলাকায় ঠিকাদার সুরেশের বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে তরুণ সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখানেই তাঁকে শেষবারের জন্য দেখা গিয়েছিল। এক পদস্থ পুলিশ অফিসার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলের শেষ লোকেশন ট্রাক করে আমরা ঠিকাদারের বাড়িতে তল্লাশি চালাই। সেখানেই জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঠিকাদার পালিয়ে গেলেও তাঁর ভাইকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।