শেষ আপডেট: 29th January 2025 22:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হল ২৩.৫ কোটি টাকার হাইড্রোপনিক গাঁজা। বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন কাস্টমসের আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে।
থাইল্যান্ড থেকে পাচার হয়ে আসা ওই গাঁজা সফট ড্রিঙ্কসের পাউডারের প্যাকেটের মধ্যে লুকোনো ছিল। তল্লাশি চালানোর পর হাতে আসে পুলিশের। জানা গেছে, হাইড্রোপনিক গাঁজা জলে উৎপন্ন হয়। এর আরও কয়েকটি নাম রয়েছে যেমন ওজি, সুগারকোন ও কুশ।
বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, মেথঅ্যামফেটামিন এবং সিউডোইফিড্রিন নামক মাদকের বিপুল চাহিদা রয়েছে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়। সেই সব দেশে মাদক পাচারের জন্যই তামিলনাড়ু আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীদের কাছে ট্রানজিট হাবে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে পাচারের মূল রুটটি হল মায়ানমার থেকে ভারত, তারপর তামিলনাড়ু হয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূল।
এক্ষেত্রে লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই)-এর যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের মতে, মাদক উপকূল পর্যন্ত পৌঁছানোর কাজ করে থাকে এই দলের কয়েকজন সদস্য।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর চেন্নাই পুলিশ মেথঅ্যামফেটামিন পাচারের একটি সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড ফিলিপকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নাইজেরিয়ার নাগরিক। এপর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়।
কেন মণিপুর থেকে এনে শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হচ্ছে দিনের পর দিন?
জানা গিয়েছে, এর মূল কারণ দাম। মাদকের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেকটা কম মায়ানমারে। যেমন এক কেজি মাদকের দাম মায়ানমারে যদি ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা হয়। চেন্নাইতে ৭ লক্ষ পর্যন্ত দাম হতে পারে। আর বিদেশের বাজারে দাম কয়েক কোটি টাকা।
এনসিবি জানিয়েছে, মেথঅ্যামফেটামিন মায়ানমার থেকে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে মণিপুরে প্রবেশ করে। তারপর ট্রেনে করে তামিলনাডুতে আনা হয়। সেখান থেকে গাড়িতে করে রামেশ্বরম, থুথুকুডি বা নাগাপট্টিনামে পৌঁছায়। সেখানে স্থানীয় মাছ ধরার নৌকায় করে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়।