মোটের ওপর মন্ত্রী জানান, বর্তমানে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টগুলো ছড়াচ্ছে, সেগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও ক্ষতি করার ক্ষমতা কম। তবুও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সচেতনতা, দ্রুত টেস্ট ও মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য।
ছবিটি প্রতীকী
শেষ আপডেট: 23 May 2025 12:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরলে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। মে মাসের শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে নতুন করে ১৮২ জনের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে সতর্ক ও সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।
এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে, বিশেষ করে হংকং ও সিঙ্গাপুরে ওমিক্রনের JN1 সাব-ভ্যারিয়েন্ট LF.7 ও NB.1.8-এর কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে কেরলেও সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও মন্ত্রী জানিয়েছেন, এপর্যন্ত সংক্রমণের তীব্রতা খুব একটা বেশি নয়, তবে আত্মসুরক্ষায় কোনও রকম গাফিলতি করা চলবে না।'
মে মাসে কেরলে রিপোর্ট হওয়া ১৮২টি সংক্রমণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কোট্টায়াম জেলার বাসিন্দারা। ৫৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর রয়েছে এরনাকুলাম, ৩৪ জন এবং তিরুবনন্তপুরম ৩০ জন। বাকি সংক্রমিত রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের র্যাপিড রেসপন্স টিমের (RRT) একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। সেই বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, যাঁদের সর্দি, গলা ব্যথা, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরে থাকা জরুরি। বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা এবং যাঁদের আগে থেকেই কোনও জটিল রোগ রয়েছে, তাঁদের জনসমক্ষে এবং ভ্রমণের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'খুব প্রয়োজন না থাকলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। মাঝেমধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। যেখানে চিকিৎসা করানো হচ্ছে, সেখানকার প্রোটোকল মেনে চলতে হবে এবং সেই হাসপাতালেই চিকিৎসা করানো উচিত। কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ধরা পড়ার পর অন্যত্র রেফার করে দেওয়া ঠিক নয়।'
মোটের ওপর মন্ত্রী জানান, বর্তমানে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টগুলো ছড়াচ্ছে, সেগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও ক্ষতি করার ক্ষমতা কম। তবুও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সচেতনতা, দ্রুত টেস্ট ও মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য।
বর্ষা আসন্ন হওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুধু কোভিড নিয়ে চিন্তিত এমন নয়। ডেঙ্গি, লেপটোস্পাইরোসিস এবং অন্যান্য রোগও ভাবাচ্ছে। তাই নজরদারি এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজকর্ম জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।