শশী তারুর। ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 6 May 2025 17:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর মঙ্গলবার কেন্দ্রের যুদ্ধ নিরাপত্তার মহড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন। আগামিকাল, বুধবার, ৭ মে দেশজুড়ে একযোগে যুদ্ধকালীন নাগরিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মহড়া বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মার্জিত, রুচিশীল চাঁচাছোলা ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত তারুর এই মহড়াকে ‘ধোঁকাবাজি’ হতে পারে বলেও ব্যাখ্যা করেন।
পাশাপাশি এদিনই কেরলের তিরুবনন্তপুরমের লোকসভা সাংসদ তথা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন কূটনীতিক তারুর পাকিস্তানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের পিছনে একটি দুঃখজনক বাস্তবের দিকেও গুরুত্ব দেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে পাকিস্তানকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছে। কিন্তু, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তারুর বলেছেন, দুঃখের হলেও এটা বাস্তব যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্য চিন। যাদের হাতে ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও রকমেরই প্রস্তাব আসুক না কেন, চিন ভেটো দিয়ে দেবে।
যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা মহড়া নিয়ে শশী তারুর মজার ছলে বলেন, সাইরেনগুলি এখনও আদৌ কাজ করে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে পারে ভারত এবং নাগরিকরা জানতে পাবেন যুদ্ধ বাধলে কী করতে হবে। একটি সংবাদ মাধ্যমকে তারুর বলেন, এটা খারাপ পরিকল্পনাও নয়। কারণ তিন-চার দশকের মধ্যে এগুলি কাজেই আসেনি। একটা প্রজন্ম আছে যারা চোখেও দেখেনি।
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, মহড়াকে মহড়াই বলে। যুদ্ধ ঘোষণা নয়, যেমনটা কিছু মানুষ বলে বেড়াচ্ছেন। কিছু মানুষ ভেবে বসেছেন, যুদ্ধ প্রায় আসন্ন। কিন্তু, এটা হওয়ার অর্থ অন্য পক্ষকে একটি ইঙ্গিত দেওয়া যে আমরা পরিস্থিতি নিয়ে সজাগ রয়েছি। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, খোলাখুলি বলতে পারি, এটা একটা ধোঁকাবাজি হতে পারে অথবা দ্বিগুণ বোকা বানানোর কৌশল হতে পারে। তবে আমরা একটি বার্তা অন্তত দিতে পারি আসলে যেটা দিতে চাইছি। আমি মহড়া নিয়ে এখনই কোনও উপসংহারে আসতে চাই না। তবে সত্য হচ্ছে এটা একেবারে মহড়া। ১৯৬৫ সালে যখন সাইরেন বেজেছিল তখন আমি শিশু ছিলাম, হেসে বলেন তারুর।