‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছেন নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) । ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হওয়ার খবর তিনিই সকলের আগে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধীদের অস্বস্তির মুখে ফেলে দিয়েছেন।
শশী থারুর
শেষ আপডেট: 13 May 2025 10:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছেন নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) । ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হওয়ার খবর তিনিই সকলের আগে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধীদের অস্বস্তির মুখে ফেলে দিয়েছেন। দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তানকে এক টেবিলে বসিয়ে কাশ্মীর সমস্যার (Kashmir issue) সমাধান করে দিতে চান।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President) এই সব বক্তব্য নিয়ে ভারতের ঘরোয়া রাজনীতি উত্তপ্ত। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) এবং লোকসভার দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে সরকারের জবাব দাবি করেছেন। সেই বিতর্কের রেশ কাটার আগেই ট্রাম্প দাবি করে বসেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি করিয়েছেন। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, বিপুল আর্থিক ক্ষতির ভয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান।
যদিও শনি ও রবিবার তাঁর প্রশাসন ভিন্ন কথা বলেছিল। ট্রাম্প নিজেও দাবি করেন, পরমাণু যুদ্ধ (nuclear weapon) থেকে দুই দেশকে বিরত করেছেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (US vice President JD Vance) দাবি করেন, চরম কিছু ঘটতে চলেছে বলে গোয়েন্দা সুত্রে খবর পাওয়া মাত্র তিনি দিল্লি ও ইসলামাবাদের ফোন ঘোরাতে থাকেন।
সোমবার রাতে জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম না নিলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে সরকার তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা মানবে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে অতঃপর পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার নিয়ে বড়জোর কথা হতে পারে।
কিন্তু ট্রাম্প যেভাবে সংঘর্ষ বিরতিতে চাপ দিতে বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারির কথা দাবি করেছেন সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ভাষণে কিছু বলেননি। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন কংগ্রেস এই ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু জবাব মেলেনি। সরকারের উচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবির বিষয়টি খোলসা করা।
আর এক কংগ্রেস নেতা শশী তারুরও এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের কথায় পাকিস্তানের অবস্থান মান্যতা পেয়েছে। পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে তিনি গুরুত্ব দেননি। শশীর আরও বক্তব্য, ট্রাম্প কৌশলে কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এগুলি কিছুতেই মানা যায় না।