শেষ আপডেট: 18th November 2024 14:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গৌতম আদানি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের রাহুল গান্ধীর নিশানায়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটে বিজেপি তথা মোদীর একতার স্লোগানকে ঠেস মেরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোমবার বলেন, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়। মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ধনকুবের গৌতম আদানির ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করাই বিজেপির প্রধান কাজ।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটপ্রচারের শেষদিন সোমবার মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল দুটি পোস্টার তুলে ধরেন। একটিতে মোদী ও আদানির পাশাপাশি ছবির সঙ্গে লেখা এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়। আর দ্বিতীয়টিতে ছিল আদানি গোষ্ঠীর বিতর্কিত ধারাভি পুনর্গঠন প্রকল্পের ছবি। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, সেফ মান মুম্বইয়ের সম্পদ। যা বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমর্থনে আদানিরা গ্রাস করতে চায়।
রাহুল বলেন, ধারাভি পুনর্গঠন প্রকল্পকে একটিমাত্র লোকের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিজেপি আগাপাশতলা রাজনৈতিক মেশিনারিকে মাঠে নামিয়েছে। ধারাভি পুনর্গঠন প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে হচ্ছে না। এবং এটা করাই হচ্ছে মাত্র একজনের মুনাফার কথা মাথায় রেখে। আমরা নিশ্চিত নই, কীভাবে টেন্ডার বিলি হয়েছে। মাত্র একজনের হাতে দেশের সব বন্দর, বিমানবন্দর এবং সম্পদ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, রাজ্যের বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ি ক্ষমতায় এলে ধারাভি প্রকল্প বাতিল করে দেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্তকে এদিন প্রশংসা করেন রাহুল। মধ্য মুম্বইয়ের ৬০০ একরের এই লোভনীয় জমিতে এক বিরাট বস্তি রয়েছে। যা পুনর্গঠনের প্রকল্প হাতে পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তা নিয়েই এবারের বিধানসভার ভোটের বাজার গরম রয়েছে।
রাহুল গান্ধী তা নিয়েই বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রকল্পগুলি রাজ্য থেকে গুজরাতে হস্তান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বিজেপির ইশারায় রাজ্যের আর্থিক সুযোগকে ভিন রাজ্যের বেনিয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। রাহুলের দাবি, মোট ৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প যেমন ফক্সকোন এবং এয়ারবাস গুজরাতে চলে গিয়েছে। রাজ্যের ৫ লক্ষ কর্মহীনের চাকরি হাতছাড়া হয়েছে।
রাহুল বলেন, এই নির্বাচনে আদর্শের উপর দাঁড়িয়ে লড়াই হবে। মুষ্টিমেয় কিছু লক্ষ কোটিপতির সঙ্গে রাজ্যের গরিব মানুষের লড়াই। উদ্ধব সেনা, শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেস জোটের সরকার ক্ষমতায় এলে রাজ্যে মানুষের স্বার্থই প্রাধান্য পাবে। ধনীদের স্বার্থ নয়।