শেষ আপডেট: 29th July 2024 09:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে অধীর চৌধুরীর। তাঁর জায়গায় নতুন কেউ সভাপতি হবেন, নাকি অধীরকেই পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হবে? এই বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
বৈঠকে বাংলার প্রথমসারির কংগ্রেস নেতাদের ডাকা হয়েছে। বৈঠকে বর্তমান সভাপতি অধীর ছাড়াও প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সি এবং মালদা উত্তরের সাংসদ ঈশা খান চৌধুরীকে থাকতে বলা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে আবদুল মান্নান যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
সভাপতি বদল হোক চাই না হোক, বাংলা নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ভাবনায় বদল এসেছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এমন কাউকে বেছে নেওয়া হবে যিনি তৃণমূলের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করতে পারবেন। যদিও এই মুহূর্তে তেমন নেতা নেই বললেই চলে। অধীরকে সভাপতি পদে রেখে দিলে তাঁকে তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলতে হবে।
কংগ্রেস হাইকমান্ড চায় ২০২৬-এর আগে ফের জোড়াফুলের হাত ধরতে। ২০১৬-র বিধানসভা ভোট থেকে বাংলায় কংগ্রেস কখনও প্রত্যক্ষ ও কখনও পরোক্ষভাবে বামেদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে লড়াই করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস এখন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক। জাতীয় রাজনীতির অঙ্ক বিবেচনায় রেখে কংগ্রেস হাইকমান্ড তৃণমূলের সঙ্গে সখ্য বজায় রাখতে আগ্রহী। অন্যদিকে, অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন প্রদেশ কংগ্রেসের সিংহভাগ উল্টো পথে চলতে চাইছে।
সদ্যই নীতি আয়োগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিবাদে হাত শিবিরের দিল্লির নেতারা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষ নিয়ে বড় বিবৃতি দেয়। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের জবাবে হাইকমান্ডের উল্টো সুরে অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় অভিযোগ করছেন, অথচ সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন?