রাহুল গান্ধী।
শেষ আপডেট: 31st January 2025 10:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কংগ্রেসের প্রতি তফসিলি জাতি, আদিবাসী ও ওবিসি ভোটারের আস্থা ফেরানোর ডাক দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সমাজের এই অংশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত সামাজিক সংগঠনের লোকজনের এক সম্মেলনে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, এটা আমাদের স্বীকার করতে বাধা নেই যে গত শতকের নয়ের দশকের পর থেকে কংগ্রেস এই অংশের মানুষের সমর্থন হারাতে শুরু করে।
দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে রাহুলের এই কথা শুনে দর্শক-শ্রোতাদের অনেকেই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। রাহুল তাদের থামিয়ে দিয়ে বলেন, আমি কারও নাম করছি না। কিন্তু সত্যটা আমাদের স্বীকার করে নেওয়াই ভাল।
রাহুল নাম না করলেও, তাঁর কথায় স্পষ্ট, তিনি নরসিংহ রাওয়ের জমানাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর সময়ে গরিব মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গেই বেশি ছিলেন। তাদেরই অংশ দলিত, আদিবাসী, ওবিসি’রা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪-তে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হন রাহুলের বাবা রাজীব। তিনি নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আসনে দলকে জেতালেও সেই সমর্থন ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৮৯-এর ভোটে পরাজিত হন। ১৯৯১-এর নির্বাচনী প্রচারে তিনি আততায়ীদের হাতে নিহত হলে প্রধানমন্ত্রী হন রাও।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাহুলের এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপট হল ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা। মোদী প্রায়ই বলে থাকেন, কংগ্রেসের দলিত, আদিবাসী, ওবিসি দরদ হল ভুয়া। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীরা ওবিসি সংরক্ষণ চালু করতে চাননি। রাহুল পাল্টা দাবি করলেন, ইন্দিরা, রাজীবদের সময় পর্যন্ত এই সব সম্প্রদায় কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল। নয়ের দশক থেকে সেই ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামে।
প্রসঙ্গত, নয়ের দশকের শুরু থেকেই উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশায় মুলায়ম সিং যাদব, লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, রাম বিলাস পাসোয়ান, বিজু পট্টনায়েক, এস আর বোম্বাই, রামকৃষ্ণ হেগড়ে, এনটি রামারাওয়ের মতো আঞ্চলিক নেতার উত্থান হয়। তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা পশ্চাৎপদ অংশের ভোটে থাবা বসিয়ে রাজনীতিকে জায়গা করে নেন।
রাহুল বলেন, সমাজের এই অংশের মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের সংযোগ বা়ড়াতে হবে। এই প্রসঙ্গেই কাস্ট সেন্সাস নিয়ে ফের সরব হন কংগ্রেস নেতা।