শেষ আপডেট: 4th January 2025 16:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির রাজনীতিতে তিন-তিনবার প্রচারের আলোয় ছিলেন তিনি। রাজধানীর আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ফের চর্চায় অলকা লাম্বা, দিন কয়েক আগেও সক্রিয় রাজনীতি থেকে যিনি একপ্রকার দূরে ছিলেন। যদিও নয়ের দশকের গোড়ায় কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় ছাত্র সংগঠনের নেত্রী, একদা বিজেপির প্রথমসারির নেতা তথা দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মদনলাল খুরানার বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই এবং আম আদমি পার্টির টিকিটে বিধায়ক হওয়া অলকা একটা সময় রাজনৈতিক খবরের অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকতেন। আপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাজনীতি থেকে প্রায় সরেই গিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীর বিশেষ অনুরোধে ফের মূল ধারার রাজনীতিতে ফিরছেন। বর্তমানে সর্ব ভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী অলকা একটা সময় কংগ্রেসের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুবক্তা হিসাবে তাঁর সুখ্যাতি আছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, দিল্লি বিধানসভার কালকাজি আসনে হাত চিহ্নের প্রার্থী হতে চলেছেন অলকা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রার্থী তথা ওই কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক[AS1] আতিশির বিরুদ্ধে লড়বেন অলকা। গোড়ায় রাজি না হলেও পরে সম্মতি দিয়েছেন। কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে তুলে ধরতে পারে বলে দলের একাংশের ধারণা।
দিল্লির রাজনীতি তিনি নতুন মুখ নন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি অলকা ২০০৩-এ দিল্লি বিধানসভার ভোটে বিজেপির হাই-প্রোফাইল মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী মদনলাল খুরানার বিরুদ্ধে মোতিনগর কেন্দ্রে লড়াই করেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হেরে যান। বিধানসভা ভোট জিততে না পারলেও কংগ্রেসর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অলকা। দলের সঙ্গে মত বিরোধের কারণে ২০১৬-তে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক হয়।
দল ছাড়লেও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ও আস্থা অটুট ছিল। তার প্রমাণ মেলে ২০১৯-এ আপ সরকার রাজীব গান্ধীর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান কেড়ে নিতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনে। দলের ওই সিদ্ধান্তে সায় না দিয়ে আপের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা এবং দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি।
সেই থেকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকা অলকা সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে দিল্লির সাবেক আপ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমালোচনা করে লম্বা পোস্ট দেন। আপ সরকার পুরোহিত ও গুরুদ্বারের গ্রন্থীদের ভাতা দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজনীতির জন্য ধর্মকে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলে তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেসের এই সাবেক নেত্রী। সেই পোস্টই সমীকরণ বদলে দেয়।
রাহুল গান্ধীর নির্দেশে দিল্লি কংগ্রেসের নেতারা অলোকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলোচনা চলার মাঝে প্রয়াত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মনমোহনের অন্তেষ্টিতে তাঁকে যথেষ্ট সক্রিয় দেখা যায়। দলীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার দলের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়েছে অলকার। মুখ্যমন্ত্রী আতিশির বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন আপ ও বিজেপির তীব্র বিরোধী বলে পরিচিত অলকা লাম্বা।