মন্তব্যগুলোর ভিডিও ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়, কিন্তু বহু দর্শক বিষয়টিকে একেবারেই ভালভাবে নেননি।
শেষ আপডেট: 3 July 2025 10:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভিগানদের (যাঁরা নিরামিশাষী এবং ডেয়ারি প্রোডাক্টও খান না) প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তাঁদের ‘প্রফেশনাল হেল্প’ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান সানিয়া মিরওয়ানি। জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘দ্য হ্যাভিং সেইড দ্যাট’-এর এক পর্বে তিনি মন্তব্য করেন, যে নিরামিষাশী বন্ধুদের সঙ্গে তিনি বাইরে খেতে খান, বলেন, তাঁদের মাংস খেয়ে দেখা উচিত এবং ‘এবার অন্তত বড় হওয়া উচিত’।
পডকাস্টে সানিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হয়ে ‘আমায় পনির দাও’ বলাটা ঠিক নয়। বড় হও এবার, মাংস খাও।’
এরপর নিরামিষাশীদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিগানদের তো অবস্থা আরও খারাপ। তাঁদের আর বাঁচানো যাবে না। আমি ভিগানদের নিয়ে মজা করি না, কারণ আমি সত্যিই মনে করি তাঁদের রীতিমতো প্রফেশনাল হেল্প দরকার। আর যাঁদের মানসিক সাহায্য প্রয়োজন, তাঁদের নিয়ে তো মজা করা উচিত নয়।’
এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি কটাক্ষ করে তাঁদের ‘ভার্জিন’ বলেও উপহাস করেন। তিনি আরও জানান, স্কুলে পড়ার সময় তিনি চুপিচুপি নন-ভেজ খাবার (যেমন চিকেন নাগেটস) স্কুলে নিয়ে গিয়ে তার নিরামিষাশী বন্ধুদের খাওয়াতেন, এবং সেটাকে ‘ঈশ্বরের কাজ’ বলে ব্যাখ্যা করতেন। তাঁর কথায়, ‘আমি স্কুলে লুকিয়ে চিকেন নাগেটস নিয়ে যেতাম আর যে বন্ধুরা নিরামিষ খায়, তাদের দিতাম। ওদের সাহায্য করতাম।’
এই মন্তব্যগুলোর ভিডিও ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়, কিন্তু বহু দর্শক বিষয়টিকে একেবারেই ভালভাবে নেননি। সমালোচনার ঝড় ওঠে। একজন মন্তব্য করেন, ‘তাঁর এই ধরনের মতামত বাস্তবেই সমস্যাজনক। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস, খাদ্য-সংবেদনশীলতা নিয়ে এই বক্তব্য একদমই বাচ্চাদের মতো। অর্ধসত্য জ্ঞান আর অযথা আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ।’
আরও একজন লেখেন, ‘এই পর্বটা যেন পডকাস্ট জগতের ‘ব্রেনটা বাড়িতেই ফেলে রেখে এসো’ টাইপ কনটেন্ট।’ আরেকজন বলেন, ‘ভিগান বা নিরামিষ খাওয়া একান্তই ব্যক্তিগত পছন্দ। কাউকে সেই পছন্দের জন্য কটাক্ষ করা বা ‘ভার্জিন’ বলা সত্যিই অপ্রাসঙ্গিক আর শিশুসুলভ আচরণ।’ কেউ আবার চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘এই জন্যই খাবার নিয়ে সঠিক শিক্ষা দরকার। না হলে এরকম লোকজন এসে শুধুই ‘কুল’ দেখানোর জন্য বাজে কথা বলবে।’
এছাড়াও, পডকাস্টে সানিয়া মিরওয়ানি PETA-র বিজ্ঞাপন গুলিকেও ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘ভয়ংকর’ বলে আখ্যা দেন। তাঁর মতে, পশু অধিকার নিয়ে এইরকম আক্রমণাত্মক প্রচার আসলে মানুষের মধ্যে উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং অনেকেই জেদ করে আরও বেশি মাংস খেতে উৎসাহিত হন।