কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ৪০ দিনের চিল্লাই কালন
শেষ আপডেট: 24 December 2024 06:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর ভারত জুড়ে প্রবল হাড়কাঁপুনি শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারপাতে ক্রিসমাস ও ইংরেজি নববর্ষের মুখে আনন্দে উদ্বেল পর্যটকরা। দেশের আবহাওয়া দফতর হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরে বরফ ঠান্ডা বাতাসের সতর্কতা জারি করেছে। একইসঙ্গে লাদাখ, কাশ্মীর ও হিমাচলের উত্তরাংশে প্রবল তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এছাড়াও পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় সহ দেশের উত্তরভাগে প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
গত শনিবার থেকেই কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ৪০ দিনের চিল্লাই কালন অর্থাৎ সবথেকে প্রবল শীতকাল। শ্রীনগরে সোমবার রাতে তাপমাত্রা নেমেছিল তাপাঙ্কের ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় পহলগাঁও এবং গুলমার্গে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে মাইনাস ৭.৮ ও মাইনাস ১.৯ ডিগ্রি। দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে তাপমাত্রা নামে মাইনাস ৮.৮ ডিগ্রি, যা উপত্যকার সর্বনিম্ন। অনন্তনাগ ও পুলওয়ামায় মাইনাস ৮.৩ ও কুলগাঁওয়ে মাইনাস ৬.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা নেমেছিল।
অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডেও বহু জায়গা জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। মন্দির শহর কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ও গাড়োয়ালের হেমকুণ্ড সাহিবে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। পর্যটকদের মনে আনন্দ জোগাতে ধনৌলটি, মুসৌরি এবং চক্রতাও ঘন বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। এদিকে, হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ের রানি শিমলায় সোমবার রাতে ফের তুষারপাত হয়েছে। পর্যটক কেন্দ্র কুফরি এবং নারকান্ডাতেও প্রচুর বরফ পড়ে। শিমলায় ৮ সেমি পুরু বরফ পড়ে রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের অন্যতম পর্যটনস্থল মানালিতে বরফ পড়ে রাস্তা আটকে যাওয়ায় সোলাং এবং অটল টানেলের মাঝে প্রায় হাজারখানেক গাড়ি যানজটে আটকে পড়ে। তার ফলে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় গাড়ির। বেশ কয়েক ঘণ্টা প্রবল ঠান্ডার মধ্যে আটকে পড়ে থাকেন পর্যটকরা। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন মিলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জনের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
স্থানীয় হোটেল মালিক ও পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষও বরফ পড়ায় খুব খুশি। হোটেল মালিকদের অনুমান, শিমলা, মানালি, কুফরি, রোটাং পাস, শ্রীনগর, গুলমার্গ, সোনেমার্গ, পহলগাঁওয়ে এইভাবে তুষারপাত হতে থাকলে আরও পর্যটকের ঢল নামবে। এমনিতেই বছর শেষের ছুটি কাটাতে এবং তুষারপাত দেখতে হাজার হাজার পর্যটক এখন উত্তর ভারতমুখী। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী মাসখানেক ধরে অবিরাম পর্যটক আসতে থাকবেন।