এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনফরমেশন ব্যুরো সূত্রে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ওই বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আমেরিকায় তৈরি হওয়ায়, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তদন্তে যুক্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) ও বোয়িং সংস্থাও।
শেষ আপডেট: 16 June 2025 06:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনার চার দিনের মাথায় সামনে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) উদ্ধার হয়েছে। এর আগে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) উদ্ধার হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
এই দুই ব্ল্যাক বক্স থেকেই বিমানটির ভিতরের শেষ মুহূর্তের তথ্য এবং ককপিটের কথোপকথনের রেকর্ড মিলবে। ফলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে সহজ হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পি কে মিশ্র। তিনি মেঘানীনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনফরমেশন ব্যুরো (AAIB) ও এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা তাঁকে গোটা পরিস্থিতির বর্ণনা দেন।
পরে সার্কিট হাউসে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উদ্ধার, ত্রাণ ও তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন পি কে মিশ্র। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, 'ড. মিশ্রকে নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে যে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) উভয়ই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এবং সুরক্ষিতভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে।'
এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনফরমেশন ব্যুরো সূত্রে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ওই বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আমেরিকায় তৈরি হওয়ায়, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তদন্তে যুক্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) ও বোয়িং সংস্থাও।
দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বিমানটি মেঘানীনগরের একটি মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ভেঙে পড়ায় নীচে থাকা আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাঁদের মধ্যে পাঁচজন এমবিবিএস পড়ুয়াও রয়েছেন। এই ঘটনায় এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পি কে মিশ্র যান আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে। সেখানে তিনি আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের দ্রুত ও সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। মৃতদের আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। খতিয়ে দেখেন ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজও। পরে জানান, এত বড় মাপের দুর্ঘটনায় আমরা সকলে গভীরভাবে শোকাহত। এই দুঃসময়ে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।
এখানেই শেষ নয়। এদিন তিনি মেঘানীনগরের কাজ সেরে পৌঁছন গান্ধীনগরে। সেখানে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়ে ডিএনএ শনাক্তকরণের কাজ দেখেন। দ্রুত এবং যথাযথ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেন।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে সবরকমভাবে দাঁড়ানো হবে। তদন্ত ও ত্রাণে সব সংস্থা সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পি কে মিশ্র।
এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তরুণ কাপুর এবং পিএমও-র ডেপুটি সেক্রেটারি মঙ্গেশ ঘিলদিয়াল।