রাজকোটের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন চারজন - ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 28 May 2024 12:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুজরাতের রাজকোটে গেমিং জোনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার হয়েছেন। আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল গেমিং জোনটির অন্যতম মালিক যুবরাজ সিংহ সোলাঙ্কি, রাহুল রাঠৌড় এবং ম্যানেজার নীতীশ জৈনকে। মঙ্গলবার রাজস্থান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ধওয়াল ঠক্কর নামে আরেক মালিককে। সকলকেই এদিন আদালতে তোলা হয়।
সরকারি আইনজীবী তুষার গোকানি জানিয়েছেন, এজলাসে ঢোকার সময়ে সব অভিযুক্তরা এমন ভান করছিল যেন তারা গোটা ঘটনায় প্রচণ্ড দুঃখিত। কিন্তু তাঁর দাবি, বিচারকের সঙ্গে কথা বলার সময়ে অন্যতম মূল অভিযুক্ত যুবরাজ সোলাঙ্কি হেসে ফেলেন। আইনজীবী বলেন, ''আদালতে ঢোকার ৫ মিনিটের মধ্যে সকলের আচরণ বদলে যায়। যুবরাজ বিচারকের সঙ্গে তর্ক করতে শুরু করেন! হেসে হেসেই বলেন, 'এমন ঘটনা তো ঘটতেই পারে।' বিষয়টি একদমই ভালভাবে নেয়নি আদালত।'' গেমিং জোনের ৬ মালিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চারজন গ্রেফতার হলেও এখনও দু'জন পলাতক।
যে চারজন গ্রেফতার হয়েছেন তারা কেউই পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেই দাবি করেছেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্তদের যে প্রশ্নই করা হচ্ছে তা কোনও সরাসরি উত্তর কেউ দিচ্ছে না। কোনও নথি চাইলেও দিতে চাইছে না। শুধু বলছে, সব নথি নাকি ওই গেমিং জোনেই পুড়ে গেছে। তাই আদালতের কাছে তাঁদের জন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।
গেমিং জোনে যখন আগুন লাগে তখন ধাক্কাধাক্কা-ঠেলাঠেলিতে অনেকেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ভিতরেই অগ্নিদগ্ধ হন বহু মানুষ। পথ সরু হওয়ায় এবং তার উপর জ্বলন্ত কাঠ ও লোহার পাইপ পড়ে যাওয়ায় বাইরে বেরোতে পারেননি অনেকে। কেউ কাঠামোর নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন, কারও আবার দাউদাউ আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটেছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ওই গেমিং জোনের কোনও ‘ফায়ার লাইসেন্স’ ছিল না। এমনকী, দমকলের ছাড়পত্রও ছিল না। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শহরের পুরসভা এবং রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে গুজরাত হাইকোর্ট। এই ঘটনাকে মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।