শেষ আপডেট: 28th January 2025 12:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মণিপুরের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল রাজ্যের একটি কুকি সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সংগঠিত হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছে কুকিরা। যার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির দাবি তোলা হয়েছে একটি আবেদনে। কুকি সংগঠনের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ মঙ্গলবার দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, যদি সত্যিই চরমতম দ্রুত শুনানির গুরুত্ব থাকে, তাহলে তা করা হবে।
একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি মৌখিকভাবে আর্জি জানানো কুকিদের পক্ষের আইনজীবী ভূষণকে বলেন, আগে লিখিত আবেদন জমা দিন। তারপর তা খতিয়ে দেখে তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। কুকিদের একটি সংগঠন হিউম্যান রাইটস ট্রাস্ট মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে একটি আবেদন জানায়। তাদের অভিযোগ, উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের একটি কথাবার্তায় রেকর্ড করা অংশ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যাতে প্রমাণ হয়, তিনি নিজে মণিপুরের জাতিদাঙ্গায় যে হিংসা ছড়িয়েছে তাতে প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আর্জি জানায় কুকি সংগঠনটি।
এদিন কুকিদের তরফে প্রশান্ত ভূষণ শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মৌখিকভাবে এই আর্জি পেশ করেন। তিনি গুরুত্ব বিচার করে খুব দ্রুত মামলাটি গ্রহণ করে নথিবুক্ত করার আবেদনও জানান। ভূষণ এদিন আদালতে বলেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, এই অডিও ক্লিপের গ্রহণযোগ্যতা কতদূর প্রমাণসাপেক্ষ তার তথ্য জোগাড় করে আনতে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভূষণ এদিন বলেন যে, তিনি অডিও অংশটি ট্রুথ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট তিনি আবেদনের সঙ্গে পেশ করেছেন বলেও দাবি করেন।
এর জবাবে প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, আমাকে এ নিয়ে আগে একটি লিখিত আবেদন জমা দিন, তারপর দ্রুত শুনানির বিষয়ে বিবেচনা করা যাবে। ভূষণ আরও বলেন, আবেদনকারীকে তারপর থেকে গোরু খোঁজার মতো খোঁজ চলছে। তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে সরকার। এরও জবাবে প্রধান বিচারপতি জানান, আগে তো আবেদন দিন, তারপর আমি দিন ঠিক করব, এটাই নিয়ম যা আমাদের মেনে চলতে হবে।