২০২৪ সালের মে মাসে দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি ভি আর গাভাই। তিনি দেশের প্রথম বৌদ্ধ এবং কেজি বালাকৃষ্ণনের পরে দ্বিতীয় দলিত বিচারপতি, যিনি দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতির পদে রয়েছেন।
বি আর গভাই
শেষ আপডেট: 5 July 2025 11:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) বি আর গভাই (BR Gavai)। বম্বে হাইকোর্টে বার অ্যাসোসিয়েশনের (Bombay Bar Association) একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এখন আর ‘প্রধান বিচারপতিকেন্দ্রিক’ প্রতিষ্ঠান নয়। বরং নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের মে মাসে দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি ভি আর গাভাই। তিনি দেশের প্রথম বৌদ্ধ এবং কেজি বালাকৃষ্ণনের পরে দ্বিতীয় দলিত বিচারপতি, যিনি দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতির পদে রয়েছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যুতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টকে আর শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতি-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখতে চাই না। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার সময় থেকেই আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি।”
প্রধান বিচারপতি এও জানান, সদ্য সমাপ্ত তিন দিনের এক প্রক্রিয়ায় ৫৪ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে থেকে প্রায় ৩৬ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, বিচারপতি নিয়োগে মেধার কোনও অবমূল্যায়ন হবে না এবং সমস্ত শ্রেণির প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সিজেআই-এর স্পষ্ট কথা, “মেধার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। আমরা নিশ্চিত করব, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হবে এবং এতে সমাজের সমস্ত স্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।”
কদিন আগেই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, দেশের সংবিধান (Constitution) সবার ঊর্ধ্বে, সংসদ (Parliament) নয়। প্রধান বিচারপতির কথায়, গণতন্ত্রের তিনটি শাখা - আইন, শাসন এবং বিচার বিভাগ, সংবিধানের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তাই তাঁর কাছে সংসদ নয়, সংবিধান সর্বোচ্চ।
নিজের বক্তব্যে বিচারপতিদের কার্যত গুরুদায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলছেন “আমাদের স্বাধীনভাবে ভাবতে হবে। মানুষ কী বলবে তা ভেবে কোনও রায় দিতে পারেন না কোনও বিচারপতি।'' পাশাপাশি এও উল্লেখ করেন, সরকারের বিরুদ্ধে রায় বা নির্দেশ দিলেই কোনও বিচারপতি বা বিচারক স্বাধীন হয়ে যান না।