ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 11 May 2025 08:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি কার্যকর হওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই সীমান্তে গুলির শব্দ। রাজস্থান থেকে কাশ্মীর—পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওঠে গোলাগুলি ও ড্রোন হামলার অভিযোগ। এই উত্তেজনার আবহে কূটনৈতিক স্তরে সক্রিয় হয় চিন। তবে তাদের ভূমিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আলাদা করে ফোন করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারকে। পাকিস্তানকে চিন আশ্বাস দেয়, তারা ইসলামাবাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্ত রক্ষার প্রশ্নে সবসময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ভারতের কাছে একেবারে ভিন্ন সুর। পহেলগামে সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনায় ওয়াং ই জানিয়ে দেন, চিন এই হামলার নিন্দা করে। সন্ত্রাসবাদ যে কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না—এমন বার্তাও দেন তিনি। তবে ভারতের অবস্থান ছিল স্পষ্ট। অজিত দোভাল বলেন, 'ভারত যুদ্ধ চায় না, কিন্তু যখন দেশবাসীর প্রাণ যায়, তখন উপযুক্ত জবাব দিতেই হয়। সন্ত্রাস রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া ভারতের অধিকার।'
চিনের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য আরও শান্তিপূর্ণ বার্তা। ওয়াং ই বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ। সমস্যা থাকলেও তা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিত। সংঘর্ষ নয়, সমঝোতাই হোক লক্ষ্য।” কিন্তু চিনের এই দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক মহল। একদিকে পাকিস্তানের পাশে থাকার বার্তা, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সুর—বেজিং আসলে কোন দিকে?