কেরলের সরকারি কলেজে ব়্যাগিং।
শেষ আপডেট: 14th February 2025 15:37
শুধু তাই নয়, লোশনের মতো ওই তরল ঢেলে দেওয়া হয়েছে তাঁর চোখ ও মুখের ভেতরেও। এক পর্যায়ে, একটি ডাম্বেল তাঁর গোপনাঙ্গের ওপর রাখা হয়। তাঁর বুকের দু'পাশে ক্লিপ লাগানো হয় এবং এক নির্যাতনকারী সেটি টানতে থাকে। ভিডিওতে বারবার শোনা গেছে ওই ছাত্রের আর্তনাদ, আর তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিনিয়ররা হেসে যাচ্ছে।
A day after five students of a nursing college in #Kerala's #Kottayam were arrested for allegedly ragging juniors, a chilling video that captures the brutal acts has emerged.
— Hate Detector ???? (@HateDetectors) February 14, 2025
The disturbing video shows the torture a junior student was put through and underlines how ragging… pic.twitter.com/d2seDF37Gb
প্রথম বর্ষের তিন ছাত্র পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরই এই ভয়ংকর ঘটনা সামনে আসে। তাঁরা জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে টানা তিন মাস ধরে তাঁদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এর পরেই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্র। তাদের নাম হল স্যামুয়েল জনসন (২০), রাহুল রাজ (২২), জীভা (১৮), রিজিল জিত (২০) এবং বিবেক (২১)। তাদের বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই র্যাগিং শুধু শারীরিক নির্যাতনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, সিনিয়ররা প্রতি রবিবার তাঁদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নিত মদ কেনার জন্য। কেউ যদি টাকা দিতে অস্বীকার করত, তবে তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হত। এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই এক ছাত্র তাঁর বাবাকে সব কথা খুলে বলেন। এরপরেই বাবার সঙ্গে পুলিশে যান তিনি।
কেরলের সরকারি কলেজের এই ঘটনা যখন সামনে এসেছে, তার ক'দিন আগেই কেরলের কোচিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্র মিহির আহমেদ আত্মহত্যা করে। তার মা রাজনা পিএম অভিযোগ করেছেন, ছেলেকে স্কুলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল। সহপাঠীরা তাকে মারধর করেছে, গালাগালি করেছে, এমনকি টয়লেট সিট পর্যন্ত চাটতে বাধ্য করেছে। এই ভয়ংকর মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।