শেষ আপডেট: 18th October 2024 15:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনকে পার্সোনাল ল এবং ঐতিহ্য-পরম্পরা দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। শুক্রবার এক মামলার রায়ে স্পষ্টভাবে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের মতে, বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ আইনের পথে বাধা হতে পারবে না পার্সোনাল ল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এই রায় দেয়।
বেঞ্চ বলেছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে দেওয়ার মানে মুক্ত-স্বাধীনভাবে তাদের সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেওয়া। তাই ধর্মীয় কোনও বেড়ার আগল থেকে বাল্যবিবাহকে মুক্ত করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সকল সম্প্রদায়কে।
রায়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জোর দিয়ে বলেন, পার্সোনাল ল বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ আইনের উপরে নয়। কারণ নাবালক-নাবালিকার বিয়ের অর্থ তাদের জীবনসঙ্গী নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেওয়া। তবে এর মধ্যে আইনের ফাঁক রয়েছে বলেও আদালত স্বীকার করে। তাই আদালত আইনকে সামগ্রিকভাবে কাজে লাগাতে একটি নির্দেশিকা রূপায়ণের উপরও জোর দিয়েছে।
শীর্ষ আদালতে এক আর্জিতে বলা হয়, দেশে বাল্যবিবাহ বেড়ে চলেছে এবং এক্ষেত্রে খাতায়কলমে আইন থাকলেও সর্বতোভাবে তার প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে সামাজিক দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখার ডাক দিয়ে বলে, বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বাল্যবিবাহ রোধে নিজস্ব পন্থা অবলম্বন করতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধ আইন তখনই সফল হবে ও পরিপূর্ণতা লাভ করবে, যখন বহুমুখী সহযোগিতা একত্রিত হবে। এর মধ্যে আইন কার্যকর করার আধিকারিকদেরও সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা জরুরি বলে মনে করে বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে ১৯২৯ সালে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনকে সংশোধিত করে ২০০৬ সালে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ আইন চালু করা হয়। এরপরেও এই আইনের পরবর্তী সংশোধনী সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর্যায়ে পড়ে রয়েছে। এই সংশোধনীতে পার্সোনাল ল-এর সঙ্গে এই আইনের ফাঁকটির প্রসঙ্গ রয়েছে।