শেষ আপডেট: 20th April 2024 15:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশে তিন নতুন ফৌজদারি আইনের সপক্ষে বার্তা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। শনিবার বললেন, ভারতে পরিবর্তন আসছে। উল্লেখ্য, এ বছর ১ জুলাই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম নামে তিনটি ফৌজদারি দণ্ডবিধি লাগু হবে। ঔপনিবেশিক আমলের অপরাধ সংক্রান্ত আইনের খোলনলচে বদলে ফেলায় বিরোধীরা রে রে করে ওঠে। এই আইনবিধিকে বিজেপি সরকার নিজেদের সুবিধামতো তৈরি করেছে এবং এতে এর ফলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করে বিরোধীরা।
কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি যে আইন নিয়ে খড়্গহস্ত, এদিন সেই আইনকেই সমর্থনের সিলমোহর দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, ভারত যে বদলে যাচ্ছে এটা তারই পরিষ্কার ইঙ্গিত। নতুন কালের সন্ধিক্ষণে ফৌজদারি দণ্ডবিধির পরিবর্তন সাধন জরুরি ছিল বলে মত তাঁর।
নয়াদিল্লিতে 'ইন্ডিয়াস প্রগ্রেসিভ পাথ ইন দি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ ক্রিমিন্যাল জাস্টিস সিস্টেম' শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তব্য বলছিলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আমাদের পরিবর্তন জরুরি। এটা সেরকমই একটা পদক্ষেপ। যেখানে আমাদের চলতি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা পড়বে।
চন্দ্রচূড়ের মতে, নতুন এই তিন ফৌজদারি দণ্ডবিধির মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য বদল আসতে চলেছে। যাঁরা এই আইন প্রয়োগ করবেন, এখন তাঁদের উপরই নির্ভর করবে দণ্ডবিধির কার্যকারিতা। একে গ্রহণ করে নিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই আইনগুলিতে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন, নির্যাতিত বা নির্যাতিতার স্বার্থ সুরক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তা খুব জরুরি ছিল। এছাড়াও তদন্ত চালানো এবং অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াতেও কার্যকরী পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত বলা যায়, এই তিন দণ্ডবিধি গতবছর ২১ ডিসেম্বর সংসদে আইন হিসেবে পাশ হয় এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ২৫ ডিসেম্বর অনুমোদন দিয়ে দেন। এই আইনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা বলা আছে। রাষ্ট্র বা দেশদ্রোহ নিয়ে নতুন ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। কম্পিউটার কেন্দ্রিক এফআইআর গ্রহণের ব্যবস্থাও চালু হতে চলেছে। বিশেষ করে গণপিটুনিতে মৃত্যু এবং ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ মেরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে চালকের গ্রেফতারির ধারাটি এই মুহূর্তে লাগু হবে না সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।