শেষ আপডেট: 21st December 2024 19:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছত্তীসগড় হাইকোর্টে এক নাবালিকার অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই শুনানিতেই বড় পর্যবেক্ষণ আদালতের। বলা হল, মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গমকে আইনত ধর্ষণ বলা যায় না। তবে সেটি মারাত্মক অপরাধ। একই সঙ্গে বিচারপতির বেঞ্চ এও জানিয়েছে, পকসো আইনের আওতাতে একে আনা যাবে না।
নাবালিকার অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দুজন অভিযুক্ত ছিল। তাঁদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার নির্দেশনামায় ছত্তীসগড় হাইকোর্টের বিচারপতি রমেশ সিনহা এবং বিভু দত্ত গুরুর বেঞ্চ জানিয়েছে, মৃতদেহকে ধর্ষণের ঘটনা জঘন্য এবং ভয়ঙ্কর অপরাধ হলেও পকসো আইনের ধারায় এই অপরাধের জন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। কারণ আইন অনুযায়ী, নির্যাতিতাকে জীবিত থাকতে হবে।
যে মামলার প্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ আদালতের সেই মামলা প্রথমে নিম্ন আদালতে চলছিল। পৃথক পৃথক মামলায় দুই অভিযুক্ত নীতিন যাদব এবং নীলকান্ত নাগেশকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রথম বা মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।
দ্বিতীয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খারিজ করে নিম্ন আদালত তাকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ-সহ বেশ কিছু ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।
নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ছত্তীসগড় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিযুক্তরা। তবে হাইকোর্ট আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে।