শেষ আপডেট: 4th November 2024 13:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় ছয় বছর পর জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় প্রথম অধিবেশন বসে সোমবার। শুরুতেই ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গে ওঠায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পিডিপি বা পিওপিলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ওয়াহিদ পারা এদিন এই প্রসঙ্গ তোলেন অধিবেশনে।
২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। অনেকেই মনে করেন, এরপর আমূল পরিবর্তন হয়েছে কাশ্মীরের। প্রায় ছয় বছর পর ভোট হয়েছে সেখানে। সরকার গঠন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ওমর আবদুল্লাহ।
সরকার গঠনের পর আজ অর্থাৎ সোমবার ছিল প্রথম অধিবেশন। এদিন কী আলোচনা হতে পারে, কী নিয়ে কথা হতে পারে অধিবেশনে, সেদিকে সকাল থেকেই চোখ ছিল সকলের। অধিবেশনের শুরুতেই ৩৭০ ধারা নিয়ে কথা ওঠে। ওয়াহিদ পারা ৩৭০ ধারার রেসলিউশন নিয়ে কথা বলেন।
যার স্পষ্ট বিরোধিতা করে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা। এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স মনোনিত বিধানসভার স্পিকার রহিম রাঠের জানিয়ে দেন, এই রেসলিউশন নিয়ে তিনি এখনও কিছু ভাবেননি, বলেনওনি।
জম্মু কাশ্মীরের কোনও ল্যান্ড কাশ্মীরি ছাড়া কেউ কিনতে বেচতে পারবে না। অকাশ্মীরিদের ওপরে। ওমর ও রাহুলদের দল চায় ৩৭০ ধারা থাকে। তুললে বিজেপির সুবিধা হচ্ছে, বাইরে থেকে গিয়ে কিনতে পারবে। ব্যবসা করতে পারবে।
ওমর আবদুল্লাহ ক্ষমতায় আসার পরই ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ শিরোনামে উঠে আসে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জানান, বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফের চালু করবে, এমনটা ভেবে নেওয়া বোকামো। তবে, এই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হবে এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স বিষয়টিকে জাগিয়ে রাখবে।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিকভাবে আমাদের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হবে না। আমরা কোনওদিন বলিনি ৩৭০ ধারা নিয়ে আমরা চুপ করে যাব। এটা বলেছি, এই মুহূর্তে ৩৭০ ধারাকে প্রসঙ্গ বানাব না। আমি নির্বাচনের আগেও বলেছি, যারা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষজনের থেকে ৩৭০ ধারা ছিনিয়ে নিয়েছে, তারাই এই বিশেষ মর্যাদা ফের ফিরিয়ে দেবে, এমন আশা করা মুর্খামি।'