শেষ আপডেট: 20th September 2024 18:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে গরু-শুয়োরের চর্বির অস্তিত্ব প্রমাণ হওয়ার পরে শোরগোল পড়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। গতকাল চন্দ্রবাবু নাইডুর অভিযোগের পরেই ল্যাব রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে এ কথা। জানা গেছে, লাড্ডু তৈরির জন্য ব্যবহৃত ঘিয়েই আসল গন্ডগোল মিলেছে।
এই ঘিয়ের সমস্যা সামনে আসার পরেই অনেকেরই মনে পড়ে গেছে, গত বছর অগস্ট মাসে তিরুপতির লাড্ডু তৈরির জন্য এত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা বিখ্যাত নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়েই। অভিযোগ উঠেছিল, লাড্ডুর মানের সঙ্গে আপস করছে বালাজি মন্দির। ফলে সদ্য সামনে আসা লাড্ডু বিতর্কে নতুন করে সামনে আসছে নন্দিনী দুধ নিয়ে বিতর্কের কথাও।
কর্নাটকের দুধের ব্র্যান্ড নন্দিনীর ঘি-ই গত বছর পর্যন্ত পাঠানো হত তিরুপতির বালাজি মন্দিরে। ১৫ বছর ধরে এমনটাই চলেছে। কিন্তু গত বছরের অগস্টে জানা যায়, নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি তিরুপতি বালাজি মন্দিরে আর সরবরাহ করা হবে না। মিল্ক ফেডারেশনের চেয়ারম্যানও একথা জানিয়ে দেন। নন্দিনী দুধের দাম বাড়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের প্রথম ছ'মাসে তিরুপতি বালাজির মন্দিরে মোট ১৪ লক্ষ টাকার ঘি লাড্ডু তৈরির জন্য সরবরাহ করা হয়েছিল। তার পরেই কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন বিশেষ ছাড় দিয়ে এই মন্দিরে ঘি সরবরাহ করতে অস্বীকার করে। নন্দিনীর দুধের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই বিশেষ ছাড়ে ঘি সরবরাহ সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দে কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন।
জানা গেছিল, প্রতি লিটার ঘি তিন টাকায় দেওয়া হত মন্দির কমিটিকে। যা বাজারে অনেকটাই বেশি বলে দাবি। নন্দিনীর ঘি বন্ধ হওয়ার পরেই মন্দিরের তরফে নতুন টেন্ডার ডাকা হয় ঘি সরবরাহের জন্য। প্রসঙ্গত, এই টেন্ডার আগেও ৬ মাস অন্তর ডাকা হতো, কিন্তু প্রতিবছর সে বরাত নন্দিনীই পেত। গত বছর অগস্টে সেই ধারা শেষ হয়।
তিরুপতি বালাজি মন্দিরে প্রতি বছর ৫ লক্ষ কেজি ঘি দরকার হয় লাড্ডু তৈরির জন্য। প্রতিদিন সাড়ে ৩ লক্ষ লাড্ডু তৈরি হয় মন্দিরে। নন্দিনীর ঘি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই এই লাড্ডু তৈরিতে 'আপস' করার অভিযোগ উঠছিল গত কয়েক মাস ধরে। এর পরে এবছরের অগস্ট থেকে অবশ্য ফের সেই নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘিই কেনা শুরু হয় চন্দ্রবাবু নাইডু ক্ষমতায় আসার পর থেকে।
তবে এই পরিস্থিতিতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, নন্দিনী ব্র্যান্ডের বদলে যে অন্য সংস্থা এসেছিল ঘি-এর দায়িত্বে, তাদের দিকে। সেই ঘিয়েই পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা ইতিমধ্যেই এই লাড্ডুর সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন চন্দ্রবাবুর কাছ থেকে।