শেষ আপডেট: 24th May 2024 18:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে প্রজ্বল রেভান্না মামলায় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সাসপেন্ড হওয়া জনতা (সেকুলার) দলের নেতাকে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতির পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রক।
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরই হাসান কেন্দ্রের সাংসদ প্রজ্জ্বল তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে জার্মানি পালিয়েছেন বলে জানা যায়। এখন তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না। এই অবস্থায় তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
এরপরই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রজ্জ্বলকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কেন্দ্র পলাতক সাংসদকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা শুরু করল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৭-র অধীনে প্রজ্বল রেভান্নার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক।
এর আগে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রজ্বল রেভান্না কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে জার্মানি গেলেও এই ভ্রমণের জন্য তিনি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র চাননি। আসলে কূটনৈতিক পাসপোর্ট যাদের থাকে, তাদের জার্মানিতে ভ্রমণের জন্য কোনও ভিসা লাগে না। এই অবস্থায় প্রজ্বল রেভান্নার কুটনৈতিক পাসপোর্ট যদি বাতিল করা হয়, তাহলে তার বিদেশে থাকা অবৈধ হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে। ফলে তাঁর দেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
লোকসভা ভোট চলাকালীন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলের একাধিক অশ্লীল ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন হেনস্থা করেছেন প্রজ্জ্বল। তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়েও পালিয়েছেন তিনি।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে এক মহিলার প্রজ্জ্বলের বিষয়টি সকলের সামনে আনেন। তাঁর অভিযোগ, তিনিও রেভান্নার দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁকে একাধিকবার যৌন হেনস্থা করেছেন রেভান্না। মহিলারা আরও অভিযোগ, ভিডিয়ো কলে তাঁর মেয়ের সঙ্গে আকারে ইঙ্গিতে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন রেভান্না। ওই মহিলা অভিযোগ তুলছেন প্রজ্বল রেভান্নার বাবা তথা বিধায়ক এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধেও। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রজ্বল দাবি করেছেন, ভিডিওগুলি ভুয়ো, এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। এদিকে প্রজ্বল রেভান্না মামলায় কেন্দ্র কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না, এই প্রশ্ন বারবার উঠছিল। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে, রেভান্না মামলার দায়, পুরোপুরি রাজ্য সরকারের উপরই চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।