শেষ আপডেট: 26th July 2024 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মতো 'আন্তর্জাতিক পরিচিতিসম্পন্ন' একটি সংগঠনকে সরকারি চাকুরেদের জন্য নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় রাখা নিয়ে কেন্দ্রকে দুষল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। একটি মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, সরকারি চাকরিজীবীরা আরএসএস করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য এই সংগঠন নিষিদ্ধ, এই ভুলটি বোধগম্য করতেই পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল কেন্দ্র, বিস্ময়প্রকাশ করে বলে মধ্যপ্রদেশ উচ্চ ন্যায়ালয়।
বৃহস্পতিবার একটি মামলার নিষ্পত্তিতে হাইকোর্ট আরও বলে, আরএসএসের মতো আন্তর্জাতিক পরিচিতিসম্পন্ন একটি সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না কোনও সরকারি চাকরিজীবী। এটা যে কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত তা টের পেতে পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার! মনে হল না যে, এটা সরকারি চাকরি করা ব্যক্তিরা কোন সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না, সেই তালিকায় আরএসএসের নাম বছরের পর বছর ধরে রয়ে গিয়েছে।
আদালত আরও বলেছে, অসংখ্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর আকাঙ্ক্ষা থাকে যে, তাঁরা বিভিন্নভাবে দেশসেবা করতে চান। কিন্তু, তাঁদের জন্য আরএসএসের নাম নিষিদ্ধ তালিকায় থাকায় পাঁচ দশক ধরে তাঁরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর সেটা তখনই তালিকা থেকে সরানো হল, যখন তা আদালতের কাঠগড়ায় উঠল।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি শুশ্রূত অরবিন্দ ধর্মাধিকারী এবং গজেন্দ্র সিংয়ের বেঞ্চ অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী পুরুষোত্তম গুপ্তার একটি আবেদনের নিষ্পত্তি করে এই মন্তব্যগুলি করে। আরএসএসকে নিষিদ্ধ তালিকায় রাখাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুপ্তা আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এ মাসের গোড়ার দিকে কেন্দ্র ৫৮ বছরের পুরনো নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা আরএসএসের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
প্রসঙ্গত, বিজেপির মস্তিষ্ক আরএসএস একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, যাকে স্বাধীনতার পর থেকে তিনবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। আরএসএসের সমালোচকদের মতে, এই সংগঠন চরম হিন্দুত্ববাদী এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ করে। ১৯৬৬ সালে কেন্দ্র তাদের কর্মচারীদের যে যে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না, এমন তালিকা প্রকাশ করে। যার ভিতরে নাম ছিল আরএসএসেরও।