শেষ আপডেট: 28th October 2024 14:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতিভিত্তিক জনগণনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার খারিজ করে দেওয়ায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। সোমবার একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানাল কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা মানিকম ঠাকুর এদিন এক এক্সবার্তায় বলেন যে, ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন মোদী। তিনি কোনওভাবেই দেশের প্রকৃত চিত্র ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে জাতিভিত্তিক জনগণনা করতে দিতে চাইছেন না। ন্যায়বিচারের দাবিকে উপেক্ষা করছেন। তিনি দেশের মানুষকে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বঞ্চিত করছেন। তাঁর রাজনৈতিক ঔদ্ধত্য থেকে তিনি এই কাজ করছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল এবং এন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি কী দেশের মানুষের সমর্থনে দাঁড়াবে নাকি মুখ বুজে সহ্য করবে, লিখেছেন কংগ্রেস নেতা।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে এদিন এক সংবাদে লিখেছে যে, চার বছর দেরিতে হলেও ২০২৫ সাল থেকে কেন্দ্র জনগণনা শুরু করতে চলেছে। তারপর পরবর্তী লোকসভা ভোটের আগেই ২০২৮ সাল নাগাদ আসন পুনর্বিন্যাস করবে। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে মুখর হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, আগামী বছর শুরু হয়ে ২০২৬-এর মধ্যে জনগণনা শেষ হয়ে যাবে। তারপরেই শুরু হবে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ।
সূত্রটি জানিয়েছে, জনগণনায় সাধারণ এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে উপগোষ্ঠী নিয়ে সমীক্ষা চলবে। উল্লেখ্য, প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। শেষবার জনপঞ্জিকরণ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু কোভিডকালের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তারপর চার বছর বাদে আবার শুরু হতে চলেছে জনগণনা। সুতরাং, এবার থেকে জনগণনার সময়চক্রেরও বদল ঘটে যাবে।